‘মরণ লড়াই’ সিনেমার মধ্য দিয়ে ওস্তাদ জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে রঞ্জিতার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু এই প্রেমের পেছনে যে উদ্দেশ্য কাজ করছে সেটি বুঝতে পারেননি রঞ্জিতা। ওস্তাদ জাহাঙ্গীর আলম তার জেদ পূরণে রঞ্জিতাকে বিয়ে করেন। এরপর তিনি যখন গর্ভবতী হন, তার চার মাস পর জাহাঙ্গীর রঞ্জিতার বাবা-মা’কে সাফ জানিয়ে দেন- ‘আমার জেদ ছিল বিয়ে করা; করেছি। এখন আপনাদের মেয়েকে নিয়ে যেতে পারেন।’ তারপরই তাদের ডিভোর্স হয়। রঞ্জিতার দাবি, তিনি প্রতারিত হয়েছেন।
চলচ্চিত্রের ক্যারিয়ার রঙিন হলেও এখন ভালো নেই রঞ্জিতা। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া একমাত্র ছেলেকে নিয়ে ভাইসহ বনশ্রীতে ভাড়া বাসায় থাকেন। ২০০৫ সালে সর্বশেষ তাকে পর্দায় দেখা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, রঞ্জিতার বাবা ছিলেন নায়করাজ রাজ্জাকের বন্ধু। ১৯৮৭ সালে চলচ্চিত্রে পথচলা শুরু করেন এই নায়িকা। ‘ঢাকা-৮৬’ সিনেমায় ‘পাথরের পৃথিবীতে কাচের হৃদয়’ গানটি বেশ জনপ্রিয়তা পায়। রাজ্জাক পরিচালিত এ সিনেমায় বাপ্পারাজের বিপরীতে অভিনয় করে আলোচনায় আসেন রঞ্জিতা। এরপর ২৯টি সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি চলচ্চিত্র প্রযোজনাও করেছেন।