লতিফুর রহমান,রাজু, সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তবর্তী বাগলী শুল্ক স্টেশন এলাকা থেকে ২ নারী রোহিঙ্গা ও ১ পুরুষ রোহিঙ্গা ও তাদের দুই শিশু সন্তান এবং ২জন বাংলাদেশী নাগরিককে আটক করেছে তাহিরপুর থানা পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, ভুয়া জন্ম ও নাগরিক সনদ তৈরি করে, তিন বছর আগে ফারুক নামে এক বাংলাদেশী নাগরিক এক রোহিঙ্গা শরণার্থী নারীকে গোপনে বিয়ে করেন। ফারুকের বিয়ের ৬ মাস পরেই তার ছোট ভাই মোবারকের কাছে তার শালি (রোহিঙ্গা)’কে একই ভাবে বিয়ে দেন।
১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে ওই দুই রোহিঙ্গা নারীর ভাইপো সুফাইদ (২২) রোহিঙ্গা শরণার্থী বাগলী এলাকায় আসলে বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আসে। পরে ওই রোহিঙ্গা শরণার্থী কে জিজ্ঞসাবাদ করে মূল ঘটনা জেনে তাকে আটক করে রাখেন স্থানীয়রা।
পরে বিষয়টি তাহিরপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ তরফদারকে অবগত করলে তাৎক্ষণিক ট্যাকেরঘাট ফাঁড়ি থানার ইনচার্জ এএসআই আলাউদ্দিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাংলাদেশী ১ ও রোহিঙ্গা শরণার্থী ১ জনকে আটক করেন। এরপর ১৬ ই ফেব্রুয়ারি সকাল ১০ টার দিকে আরো ২জন রোহিঙ্গা শরণার্থী নারী ও এক বাংলাদেশী নাগরিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, তাহিরপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী বাগলী গ্রামের মৃত আবুল খায়ের’র ছেলে ফারুক, তার স্ত্রী রোহিঙ্গা, ফারুকের ছোট ভাই মোবারক ও তার স্ত্রী (রোহিঙ্গা) এবং ওই দুই রোহিঙ্গা শরণার্থী নারীর ভাইপো সুফাইদ।
– ফারুকের ৬ মাস বয়সি একটি ছেলে সন্তান ও মোবারকের ৪ মাস বয়সি একটি সন্তান রয়েছে।
ফারুকের বক্তব্য হচ্ছে, রেজিষ্ট্রশন না করলেও স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতেই তারা বিয়ে করেছেন। তারা বিয়ের ক্ষেত্রে আইনী কোনো বাধা বা নিষেধাজ্ঞা মানতে রাজি নন।
তাহিরপুর থানার ওসি মোঃ আব্দুল লতিফ তরফদার আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন জানান, আটককৃতদের বিষয়ে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বিপিএম জানিয়েছেন তারা এখনো জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।