• ১১ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৮শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১৩ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

ব্রিটেনে তৃতীয় দফা করোনায় উপচে পড়ছে লাশ,জায়গা নেই মর্গে

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২১
ব্রিটেনে তৃতীয় দফা করোনায় উপচে পড়ছে লাশ,জায়গা নেই মর্গে

বিবিএন নিউজ ডেস্ক : ন্যাশনাল এসোসিয়েশন অব ফিউনারেল ডিরেক্টরস বলেছে, তাদের মর্গে আর স্থান সংকুলান হচ্ছে না। এর মধ্যেই আসছে মৃতদেহ। অনেক মৃতদেহ ৫ সপ্তাহ পর্যন্ত সেখানে অপেক্ষায় আছে। শত শত মৃতদেহের স্তূপ মর্গে। উল্লেখ্য, বৃটেনে মৃতদেহ দাফন বা অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করে ন্যাশনাল এসোসিয়েশন অব ফিউনারেল ডিরেক্টরস। তারা বলেছে, তৃতীয় দফার করোনা সংক্রমণের কারণে তাদের মর্গ উপচে পড়ছে লাশ। কোনো ফাঁকা স্থান নেই। অনেক পরিবার প্রিয়জনের মৃতদেহ সমাহিত করতে ৫ সপ্তাহ ধরে অপেক্ষা করছে।

এই সংস্থা আরো বলেছে, ইংল্যান্ডের মিডল্যান্ডসের অবস্থা সবচেয়ে ভয়াবহ। সেখানে বর্ধিত মর্গের জায়গাও উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে। গড়ে সেখানে একটি মৃতদেহের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করতে তিন সপ্তাহের বেশি সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন ডেইলি মিরর। তারা বলেছে, ম্যানচেস্টার এবং লিভারপুল ছাড়াও অন্য সব এলাকায় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষার সময় বৃদ্ধি পেয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে, অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্নকারী কয়েক শত প্রতিষ্ঠানের এখন আর নিজেদের মর্গে আর কোনো ফাঁকা স্থান নেই। গত বছরে তারা অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন কমপক্ষে ৯০ হাজার মানুষের। শুধু গত মাসেই করোনা ভাইরাসে সেখানে মারা গেছেন কমপক্ষে ৩০ হাজার মানুষ। এ ছাড়া অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য সাধারণত জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি হলো ব্যস্ত সময়। ব্যারিংটন ফিউনারেল সার্ভিস হলো ৭০ বছর বয়সী ডেভিড বেরিংটনের পারিবারিক ব্যবসা। তিনি বাস করেন লিভারপুলে। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া বিষয়ক অন্যতম পরিচালকও তিনি। বলেছেন, এখন যে পরিমাণ মানুষের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করতে হচ্ছে এর আগে কখনো এমনটা হয়নি। আমরা শুধু একটি মৃতদেহ বের করছি। আরেকটি ঢুকাচ্ছি মর্গে। একটি মৃতদেহের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন না করা পর্যন্ত আমরা আরেকটি মৃতদেহের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া করতে পারবো না। এত্ত মানুষের মৃতদেহ আসছে। তিনি বলেন, আমাদের ৫০ বছরের এই ব্যবসা। কিন্তু কোভিডে মারা যাওয়া মানুষের চেয়ে তরুণ বয়সের মানুষও কম মারা যাচ্ছেন না। আমরা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক যুব শ্রেণির মৃতদেহ পাচ্ছি। আবার কোনো কোনো পরিবারে দু’তিন জন মানুষও মারা গেছেন। এ সপ্তাহে আমাদের কাছে একজন নারীর স্বামীর মৃতদেহ এসেছে। এখন এসেছে তার পিতার মৃতদেহ। তারা দু’জনেই করোনায় মারা গেছেন। তিনি আরো জানান, প্রথম দফায় যখন করোনা সংক্রমণ হয়েছিল তখনকার চেয়ে এখন নিয়মনীতি অনেকটা শিথিল করা হয়েছে। ওই সময়ে সব চার্চ ছিল বন্ধ। কিন্তু এখন পরিবারগুলো শেষ বিদায়ে একত্রিত হতে পারেন। তারা প্রার্থনাসভায় যোগ দিতে পারেন। ইংল্যান্ডে এই সংখ্যা ৩০, উত্তর আয়ারল্যান্ডে ২৫, স্কটল্যান্ডে ৩০ জনে সীমিত রাখতে বলা হয়েছে।(জনমত)