• ২৭শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১১ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৪শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

চকোহোলিক ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত জানুয়ারি ৩০, ২০২১
চকোহোলিক ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ

বিবিএন নিউজ ডেস্কঃ রানি বলে কথা। সাধারণের সঙ্গে মিশবেন ঠিকই। তবে কায়দাকানুনে বুঝিয়ে দেবেন তিনি অসাধারণ।

মামুলি এক কলা খাওয়ার কথাই ধরুন। খোসা ছাড়িয়ে গপাগপ গিলবেন, ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের বেলায় এমনটা কখনও হয় না। তিনি কলা খান ছুরি আর কাঁটাচামচের সাহায্যে। কাজটি রানি কীভাবে করেন, তা ব্যাখ্যা করেছেন বিশেষজ্ঞ উইলিয়াম হ্যানসন।

ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ‘দ্য মিরর’কে বলেন, ‘কাঁটাচামচ দিয়ে ধরে রেখে শুরুতে কলার একপ্রান্তে ছুরি দিয়ে খানিকটা কেটে নেন। একই ভাবে অপর প্রান্তেও খানিকটা কাটেন। এরপর ছুরি দিয়ে এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত পর্যন্ত কলার খোসা কেটে তা ছাড়িয়ে নেন। এবার একটু একটু করে কেটে খাওয়ার পালা।’ রানির প্রাক্তন রাঁধুনি ড্যারেন ম্যাকগ্রেডিও একই কথা বলেছেন।

শুধু কলা নয়, যেকোনও খাবার খাওয়ার নিজস্ব রীতি আছে রানি এলিজাবেথের। এ ব্যাপারে তাঁর নাক একটু উঁচু। রানির খাবারের জন্য বার্ষিক বরাদ্দ ১৬ লাখ ব্রিটিশ পাউন্ড। এর মধ্যে অবশ্য রানির সৌজন্যে রাষ্ট্রীয় ভোজ থেকে শুরু করে রাজপরিবারের সকালের ব্রেকফাস্ট পর্যন্ত সবই অন্তর্ভুক্ত।

ব্রিটিশ রানির জন্য ১৫ বছর কাজ করেছেন ম্যাকগ্রেডি। তিনি বলেছেন, ‘রানির পছন্দের খাবার হল চকলেট বিস্কুট কেক। এই একটি কেক তিনি বারবার খান। তিনি একদম চকোহোলিক।’ চকলেট বিস্কুট কেক রানির এতই পছন্দের যে একদিনও নাকি ওই কেক না খেয়ে ঘর থেকে বের হন না। আর নৈশভোজে মাংস খাওয়ার শর্ত হল, সেটা ভালোভাবে সেদ্ধ হতে হবে। এবার দেখা যাক রানির খাদ্যতালিকা। রাজরাঁধুনি ম্যাকগ্রেডি বলেছেন, ‘মূল কোর্সে তিনি গ্যালিক স্টিক, মাশরুম হুইস্কি সসের সঙ্গে ফিলে স্টিকের মতো খাবার পছন্দ করেন, বিশেষ করে হরিণের মাংস দিয়ে তৈরি করলে।’

ম্যাকগ্রেডির তথ্য অনুযায়ী, প্রথম কোর্সে তিনি ‘গ্লেনিগলস পাটে’ ভালোবাসেন। এটি মূলত স্মোকড স্যামন, ট্রাউট কিংবা ম্যাকেরেল, অর্থাৎ মাছের পদ। বিশেষ করে স্কটল্যান্ডের বালমোরালের রিভার ডির স্যামন তাঁর পছন্দের। রানির জন্য কাজ করার সময় অনেক ব্রিটিশ এবং ফরাসি খাবার রান্না করেছেন ম্যাকগ্রেডি। তবে রানি কখনই ঠিক ‘ফুডি’ ছিলেন না বলেও জানিয়েছেন। তাঁর ভাষায়, ‘রানি বাঁচার জন্য খান। খাওয়ার জন্য বাঁচেন না।’ (জনমত)