• ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

বৃটেনে এখন ৪ হাজারেরও বেশি করোনাভাইরাস রোগী আছেন ভেন্টিলেটরে

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত জানুয়ারি ২৪, ২০২১
বৃটেনে এখন ৪ হাজারেরও বেশি করোনাভাইরাস রোগী আছেন ভেন্টিলেটরে

বিবিএন নিউজ ডেস্ক: বৃটেনের হাসপাতালগুলোতে ভেন্টিলেটরে থাকা রোগীর সংখ্যা প্রথমবারের মতো ৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। শুক্রবার ২২ জানুয়ারী পর্যন্ত হাসপাতালের ভেন্টিলেটরে রয়েছেন ৪,০৭৬ জন রোগী।

এই সংখ্যা মহামারী শুরুর প্রথম দফা গত বছরের এপ্রিল মাসের ১২ তারিখ থেকে অনেক বেশি। সংক্রমণের প্রথম দফার পিক বা সর্বোচ্চ সংক্রমণের সময় ১২ এপ্রিল দেশের হাসপাতালগুলোর ভেন্টিলেটরে ছিলেন ৩,৩০১ জন।

শনিবার পূর্ববর্তী চব্বিশ ঘন্টায় বৃটেনে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৩৪৮ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন আরো ৩৩ হাজার ৫৫২ জন।

শুক্রবার ডাউনিং স্ট্রিটে প্রেস ব্রিফিংকালে ইউকে’র চীফ সায়েন্টিফিক এডভাইজার, স্যার প্যাট্রিক ভ্যালেন্স বলেছিলেন, “মৃত্যুর হার ভয়াবহ এবং এটি এমনই থাকতে চলেছে। এই হার নি¤œগামি হওয়ার আগে আরো কিছুদিন উর্ধমুখি থাকতে পারে – যা নিয়েই আমার ভয়।”

এদিকে নতুন এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যে, সবচেয়ে বেশি চাপের মুখে থাকা হাসপাতালগুলোতে শয্যা স্বল্পতার কারণে গুরুতর অসুস্থ্য কোভিড রোগীদের অন্যত্র স্থানান্তর করা হচ্ছে।

ক্রিটিক্যাল কেয়ার সার্ভিসগুলোর নিরীক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত কর্তৃপক্ষের হিসেব অনুযায়ি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি হওয়ায় প্রতি ১০ জনের মধ্যে ১ জনকে অন্যত্র স্থানান্তর করা হচ্ছে।

বিবিসি’র প্রতিবেদক ক্লাইভ মারি তাঁর ধারাবাহিক প্রতিবেদন করতে গিয়ে দেখেছেন, বাঙালি অধ্যুষিত হোয়াইটচ্যাপল এলাকায় অবস্থিত রয়্যাল লন্ডন হসপিটালের ১৫ ফ্লোরের ১২টি ফ্লোরই কোভিড রোগীতে পূর্ণ। হাসপাতালের স্টাফরা এত বিপুল সংখ্যক রোগীর চাপ সামলাতে রীতিমত হিমসিম খাচ্ছেন।

বিবিসি প্রতিবেদকের সাথে কথা বলার পরপরই মারা যান মার্টিন ফ্রিবর্ন এর স্ত্রী হেলেন (৬৪)। মিঃ ফ্রিবর্ন, সতর্ক থাকুন। এই ভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকুন। দয়া করে এমনভাবে শেষ পরিণতি ঢেকে আনবেন না।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৮ ডিসেম্বর থেকে মেকানিক্যাল ভেন্টিলেশন বেডে রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর যেখানে ভেন্টিলেটরে থাকা রোগীর সংখ্যা ছিলো ১,৩৬৪ জন, তা ২২ জানুয়ারী শুক্রবারে দাড়িয়েছে ৪,০৭৬ জনে।

উল্লেখ্য, গত বছরের শুরুর দিকে যখন চীনে ও পরে ইতালিতে মহামারীর প্রথম ধাক্কা লাগে, তখন বৃটিশ সরকার হাসপাতালগুলোর জন্য পর্যাপ্ত ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থা করার দিকে নজর দিয়েছিলো। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসের এক হিসাব অনুযায়ি এনএইচএস এর কাছে সর্বমোট ৩০ হাজার ভেন্টিলেটরের মজুদ নিশ্চিত হয়।

এদিকে, মহামারীর প্রথম দিকের তুলনায় এখন কোভিড আক্রান্তদের চিকিৎসাও হচ্ছে ভিন্নভাবে। এরফলে গত বছরের মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসে যেসংখ্যক লোক ভেন্টিলেটরে যেতেন, তার চেয়ে কিছুটা বেশি সংখ্যক লোক সেরে উঠছেন এখন।

ভেন্টিলেশনে থাকা রোগীদের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি ওষুধের ব্যবহারের ফলে অনেকের ক্ষেত্রেই মৃত্যু ঝুঁকি বেশ কমে আসছে বলে চিকিৎসকরা তাদের গবেষণায় দেখতে পাচ্ছেন। (জনমত)