জাকির হোসেন: ইউরোপ ভ্রমনের জন্য কি নতুন পার্সপোর্ট প্রয়োজন?নতুন নিয়ে ১লা জানুয়ারী থেকে ইউরোপ ভ্রমনে পাসপোর্টে মেয়াদ কমপক্ষে ৬ মাস বাকী থাকতে হবে।এর ফলে মিলিয়নের বেশি পাসপোর্টধারীরা আপাতত ইউরোপ ভ্রমনে বাঁধার সম্মুখিন হবেন। কারন তাদের অনেকেরই পাসপোর্টের মেয়াদ ৬ মাসের কম রয়েছে।পূর্বে ব্রিটিশ পাসপোর্টধারীরা নূণ্যতম সময় বাকী থাকা অবস্থায়ও ইউরোপ ভ্রমন করতে পারতেন।
নতুন ব্রিটিশ পাসপোর্টের জন্য অনলাইনে আবেদন ফ্রি ৭৫.৫ পাউন্ড। আর ফরম ফিলাপ করে দিলে ৮৫ পাউন্ড ফি হবে। নতুন পাসপোর্টের রং হবে ব্লু।
নতুন পাসপোর্টের চাহিদা বেশি থাকায় তিন সপ্তাহের পরিবর্তে আট সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
ইউরোপ ভ্রমনে ভিসার প্রয়োজন হবে কিন?
নতুন চুক্তি অনুযায়ী ব্রিটিশ নাগরিকদের ইউরোপ ভ্রমনে ভিসার প্রয়োজন হবে না। তবে আপনি কতদিন ইউরোপের দেশগুলো থাকবেন তার উপর নির্ভর করবে।
১৮০ দিনের মধ্যে ৯০ দিনের বেশি ইউরোপের দেশগুলোতে থাকা যাবেনা। যদি আর দীর্ঘদিন থাকার প্রয়োজন হয়, সেখানে লেখা পড়া বা কাজের প্রয়োজন হয় তবে আপনাকে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
কোন কোন ক্ষেত্রে আপনার রির্টান টিকিট রয়েছে, ভ্রমনের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ রয়েছে তা প্রমানের প্রয়োজন হতে পারে।
ইউরোপে নতুন ড্রাইভিং বিধিগুলো কি কি?
যাদের নিজের গাড়ী রয়েছে তাদের ইন্সুরেন্সের জন্য ‘গ্রীন কার্ড’ থাকা প্রয়োজন হবে। এটি প্রমান হিসেবে থাকতে হবে যে, আপনার ইন্সুরেন্স কাভারের অধিকার রয়েছে, এমনকি ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং পারমিট থাকতে হবে কোন কোন দেশের ক্ষেত্রে।
গ্রীন কার্ড এর খরছ হবে সাড়ে ৫ পাউন্ড। ইউরোপিয়ান আইন ১৯৪৯ এবং ১৯৬৮ ও সমস্থ ইউরোপের জন্য ১৯২৬ বিধান।
ব্রিটিশ সরকার আপনার গাড়িতে একটি জিভি স্টিকার রাখার পরামর্শ দিচ্ছে, এমনকি আপনার নাম্বার প্লেটে একটি জিভি চিহৃ রাখতে হবে। এটি অনলাইন আবেদন করে পাওয়া যাবে।
ইউরোপ জুড়ে গাড়ী চালাতে নতুন করে ড্রাইভিং পরীক্ষা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না।
এদিকে ১লা জানুয়ারী থেকে ইউরোপিয়ান হেলথ ইন্সুরেন্স কার্ড বৈধ হবে না। তবে নতুন ইএইচআইসি কার্ড ব্রিটেন ১লা জানুয়ারী থেকে চালু করবে।
ইউরোপিয় যারা ২০২০ ডিসেম্বরের পূর্বে বসবাস করেছেন, তাদের কেউ কেউ স্টেট পেনশন পেতে পারেন।(ওয়ান বাংলা )