• ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

বায়ুদূষণ মৃত্যুর কারণ: ব্রিটিশ আদালতের ঐতিহাসিক রায়

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১৯, ২০২০
বায়ুদূষণ মৃত্যুর কারণ: ব্রিটিশ আদালতের ঐতিহাসিক রায়

বিবিএন নিউজ ডেস্ক : ছয় বছর আগে ৯ বছরের ব্রিটিশ কিশোরী এল্লা আদু কিসি ডেবরার মৃত্যু হয়েছিল শ্বাসকষ্টজনিত রোগে অসুস্থ হওয়ার পর। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিয়ে মামলা চলছিল। সম্প্রতি সেই মামলায় বায়ুদূষণকে দায়ী করেছে ব্রিটেনের একটি আদালত। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস এখবর জানিয়েছে।

পরিবেশ দূষণ নিয়ে কাজ করা বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেবরার মৃত্যুর কারণ হিসেবে বায়ুদূষণকে দায়ী করা গুরুত্বপূর্ণ। যা থেকে দূষণ কতটা প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে, তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। এটি জনস্বাস্থ্যে জরুরি অবস্থার মতোই সংকটজনক পরিস্থিতি।

সম্প্রতি ব্রিটেনে বরিস জনসনের সরকার পরিবেশ নিয়ে বেশ সচেতন হয়ে উঠেছে। জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকিয়ে পরিবেশ বাঁচাতে ‘সবুজ বিপ্লব’- এর পথে হেঁটে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এমনই সময়ে ডেবরার মৃত্যু নিয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত বেশ গুরুত্বপূর্ণ এবং শিক্ষণীয় হয়ে উঠল বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।

লন্ডনের দক্ষিণ-পূর্ব এলাকায় বসবাস ছিল ডেবরার। বুধবার আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট সহনক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি বিষাক্ত নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড ঢুকেছিল এল্লার শরীরে। তাতেই তার শ্বাসকষ্টের সমস্যা ও মৃত্যু হয়েছে।

এই রায়ের পর কিশোরীর মা জানিয়েছেন, এতদিন পর মেয়ে সুবিচার পেয়েছে। পাশাপাশি আদালতের এই পর্যবেক্ষণের কথা উল্লেখ করে তিনি জনস্বাস্থ্য নিয়ে ব্রিটিশদের সতর্কও করেছেন।

২০১৩ সালে মৃত্যুর আগের তিন বছরে অন্তত ৩০ বার তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। অর্থাৎ গড়ে বছরে ১০ বার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল সে। তার মৃত্যুর পর ২০১৪ সাল থেকে বিচারবিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়।

এল্লার বাসস্থান এলাকার পরিবেশ খতিয়ে দেখে জানা গেছে, শুধু যানজটের কারণেই সেখানকার বাতাস নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইডের মাত্রা অনেক বেশি। প্রতিদিন নিঃশ্বাসের সঙ্গে তা শরীরে ঢুকেই তার শ্বাসকষ্টের সমস্যা তৈরি করেছে।

আরও জানা গেছে, ওই এলাকায় বায়ুদূষণের মাত্রা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বেঁধে দেওয়া মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে অনেক আগেই। সেই হিসেবে তা নিয়মভঙ্গকারীও।

আদালতের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে, ডেবরার মাকে মেয়ের অসুস্থতার কারণ ঠিকমতো জানানো হয়নি চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে। যদি তা করা হতো তাহলে তিনি মেয়েকে সুরক্ষিত রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে পারতেন এবং মৃত্যু এড়ানো যেত।