• ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ব্রেক্সিট বাণিজ্য আলোচনা কঠিন পর্যায় অতিক্রম করছে

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত ডিসেম্বর ৫, ২০২০
ব্রেক্সিট বাণিজ্য আলোচনা কঠিন পর্যায় অতিক্রম করছে

বিবিএন নিউজ ডেস্ক :: ব্রেক্সিট-পরবর্তী বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা অত্যন্ত কঠিন পর্যায় অতিক্রম করছে। ১০ ডাউনিং স্ট্রিট সুত্র মতে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে চুক্তিতে পৌঁছার যথাসাধ্য চেষ্টা চলছে। তবে ব্রেক্সিট বিষয়ে ইইউর সমন্বয়করা সহজ সমাধানের পথ বেছে নিতে ব্যর্থ হচ্ছেন। তাদের নতুন দাবি ও অতিরিক্ত সুবিধা আদায়ের প্রয়াস চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌছার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে যদি তারা কোনও চুক্তিতে সম্মত না হন, তবে উভয় পক্ষ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়মে বাণিজ্য করবে। যার অর্থ দাড়ায়, আমদানি ও রফতানীতে শুল্ক প্রবর্তন হবে। 

আলোচনা কি আরও খারাপের দিকে মোড় নিয়েছে? ব্রেক্সিটের পরে কী ঘটবে? লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কী তৈরী হয়নি? এমন প্রশ্ন ও দূর্ভাবনা উভয় পক্ষের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। আলোচনায় এক ধরণের অচলাবস্থার সৃষ্টি হলেও কথাবার্তা চলছে।

অর্থাৎ এখনো ভেঙ্গে যায়নি। উভয় পক্ষের ধারণা, আলোচনা অব্যাহত থাকলে একটি চুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে আজ রাতে বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছানোর সম্ভাবনা নেই বলেই ধরে নেয়া হয়েছে। ফলে ব্রেক্সিট আলোচনা উইকএন্ডে প্রসারিত করা হয়েছে। প্রধান সমন্বয়ক আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য ব্রাসেলসে পরিকল্পিত প্রত্যাবর্তন বাতিল করেছেন। রাষ্ট্রীয় সহায়তার ভর্তুকি, মাছ ধরা এবং নতুন বিধি প্রয়োগের বিষয়টি এখন আলোচনার মূল বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। উভয় পক্ষের দাবি তারা যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন – যদি সম্ভব হয় তবে এই সপ্তাহান্তে এটি সম্পন্ন করতে চান।

ইউরোপীয় কমিশনের হেড অফ টাস্ক ফোর্স ফর রিলেশনস উইথ দ্য ইউনাইটেড কিংডম মিশেল বার্নিয়ার গত শনিবার বৃটেনের রাজধানী লন্ডনে পৌঁছেছেন। বুধবার পর্যন্ত আলোচনা শেষে তিনি  বলেছেন, যুক্তরাজ্য ইংলিশ চ্যানেলের বন্দর সংক্রান্ত চুক্তির মাত্র চার সপ্তাহ বাকি থাকতেই একটি নতুন ‘সঙ্কট’ তৈরি করেছে। তিনি বলেন, এসবের কারণে বৃটেনের প্রতি তিনি আস্থা হারাচ্ছেন। ইইউর ২৭টি দেশের রাষ্ট্রদূতদের সাথে নিয়মিত আলোচনায় বার্নিয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন যে, আইরিশ পাবলিক ব্রডকাস্টার আরটিই অনুসারে বৃটেনের কিছু পদক্ষেপ বিশ্বাসের বিপর্যয় ঘটাচ্ছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমস্ত সদস্য দেশ এবং ইউরোপীয় সংসদে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের আগে এই চুক্তি অনুমোদন করতে হবে বলে বার্নিয়ার কুটনীতিকদের জানিয়েছেন। ব্রাসেলসে পরের সপ্তাহে নির্ধারিত ইউরোপীয় কাউন্সিলের শীর্ষ সম্মেলনেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

অপর দিকে বৃটেন ইউরোপীয় ইউনিয়নকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা রক্ষার সম্ভাব্য সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন বলে সংশ্লিষ্ট সকলেই দাবি করছেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ছোটখাটো দাবিতে জটিলতা সৃষ্টি না করে উভয় পক্ষের বৃহত্তর স্বার্থে কিছু কিছু ছাড় দিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে এগিয়ে যাবার আহবান জানিয়েছেন। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আইন রহিত হয় বা সেজাতীয় কোন অবস্থার অবকাশ যেন না থাকে সে বিষয়ে সতর্ক করে দেন তিনি।

গতকাল ওয়েস্টমিনস্টারে বক্তব্য রাখার সময় বরিসের সরকারী মুখপাত্র জানিয়েছেন যে, পরের সপ্তাহে বৃটেনের অভ্যন্তরীণ বাজার নীতিমালা হাউজ অফ কমন্সে উত্থাপিত হবে। হাউস অফ লর্ডস কর্তৃক অপসারণকৃত ধারাগুলি পুনরুদ্ধার করা হতে পারে। এই ধারাগুলি নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড প্রটোকলকে সঙ্গায়িত করবে, উত্তর আয়ারল্যান্ড থেকে গ্রেট বৃটেনে আসা পণ্যগুলির ওপর নিয়ন্ত্রণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আইনের বিধি নিষেদের সমন্বয় করবে।

এদিকে আয়ারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইমন কোভনি বলেছেন, যুক্তরাজ্য যদি প্রাথমিক স্তরের আস্থা ও সদিচ্ছা না দেখায় তবে কোনও চুক্তি হবে না। অপরদিকে বোরিস জনসন এবং এমানুয়েল ম্যাক্রনের মধ্যে আলোচনায় শেষ মুহুর্তে কোন সমাধান বেরিয়ে আসতে পারে বলে অভিজ্ঞ মহল আশা করছেন।