বিবি এন নিউজ সিলেটঃ সিলেটের প্রস্তাবিত ছাত্রদলের কমিটি থেকে বাদ পড়ছেন শতাধিক নেতা। কেন্দ্রের কাছে জমা দেওয়া জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের ৫২২ সদস্যের কমিটিতে শতাধিক নেতাদের এসএসসি পাশের সার্টিফিকেট সঠিক বলে প্রমাণ পায়নি দলের কেন্দ্রীয় সংসদ।
এমন পরিস্থিতিতে সার্টিফিকেট ছাড়া কাউকে স্থান না দিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। জানা গেছে, সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের প্রস্তাবিত কমিটি গত ২২ অক্টোবর জমা দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে। ওই দিন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহসভাপতি ও সিলেট বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ওমর ফারুক কাওছার এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক শ্যামল মালুমের কাছে এই কমিটি জমা দেন সিলেট জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমন ও মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি আফসান।
দলীয় সূত্র জানায়, প্রস্তাবিত কমিটিতে সর্বশেষ ২০০০ সালের এসএসসি পাশদের স্থান দেয়া হয়। বিবাহিতদেরও স্থান হয় এই কমিটিতে। ছাত্রদলের পদ পেতে বয়সসসীমা নির্ধারণ করায় অনেকে আর ছাত্রদল করতে পারবেন না বিধায় এবার সিলেটের এই কমিটিতে বড় ছাড় দেয় দলের কেন্দ্রীয় সংসদ। তবে এবার বিপত্তি ঘটেছে অন্য জায়গায়। দলের ত্যাগী ও মামলা-হামলায় জর্জরিত এমন যাদের সার্টিফিকেট সমস্যা ছিল তাদের মধ্যে সীমিত আকারে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলেছিল কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। কিন্তু সিলেটের নেতারা এই সুযোগকে ইস্যু করে শতাধিক নেতাদেরস্থান করে দেন প্রস্তাবিত কমিটিতে।
দলের বিশ্বস্ত একটি সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রদলের সিলেট বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা গত ৩ দিন থেকে সিলেটের কমিটি দেখভালোর কাজ শুরু করেন। বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শতাধিক নেতাদের সার্টিফিকেট সমস্যা চিহ্নিত করেছে ছাত্রদলের সিলেট বিভাগীয় টিম। তাদেরকে বাদ দিয়েই কমিটির চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করা হচ্ছে বলে সিলেটভিউকে জানান, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহসভাপতি ও সিলেট বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ওমর ফারুক কাওছার। তিনি বলেন, ঢালাওভাবে সার্টিফিকেট ছাড়া কমিটিতে স্থান দিলে প্রশ্ন থেকে যায়।
এমন পরিস্থিতিতে সার্টিফিকেট ছাড়া কাউকেই কমিটিতে স্থান না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলের কেন্দ্রীয় সংসদ। ছাত্রদল নেতা কাওছার আরো বলেন, আগামি ৩ দিনের মধ্যে কমিটি চূড়ান্ত করে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলের কাছে জমা দেওয়া হবে। কমিটি অনুমোদন হতে আরো এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে বলে জানান তিনি। আর এই কমিটি অনুমোদন পেলেই প্রতীক্ষার অবসান ঘটবে সিলেট ছাত্রদলে।