দোয়ারাবাজার থেকে, নিজস্ব প্রতিনিধি:; সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে কেয়ারটেকার আবদুস সালাম (৪১) কে হত্যাকান্ডের ঘটনায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করে দোয়ারাবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের স্ত্রী লাভলী বেগম বাদী হয়ে এ হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা (নং-০৯, তাং-১৭.১১.২০২০ইং)।
মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) ময়না তদন্ত শেষে নিহত আবদুস সালামের লাশ দাফন করা হয়েছে। সালাম হত্যা কান্ডের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঘটনাস্থল স্থল থেকে আটক হওয়া ৬জনকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে তাদেরকে সুনামগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করেছে থানা পুলিশ।
জানা যায়, দোয়ারাবাজার উপজেলা সদর ইউনিয়নের পূর্ব নৈনগাঁও গ্রামের মৃত মমশ্বর আলীর পুত্র আবদুস সালাম ১১ বছর ধরে সে তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কেয়ারটেকার হিসেবে বসবাস করত উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নের বাদে গোরেশপুর গ্রামের মৃত আবদুল খালিকের পুত্র, যুক্তরাজ্য প্রবাসী কামরান আবদুল হাইরের বাড়িতে। গত সোমবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ওই বাড়ি থেকে একটি কাজের কথা বলে গ্রামের জফর আলীর পুত্র মোছদ আলী তাকে ঘর থেকে ডেকে নেয়। এসময় সরল মনে মোছদ আলীর সাথে মোবাইল ফোনটি ঘরে রেখে আবদুস সালাম বের হয়ে যান। এর পর আর বাড়ি ফিরেন নি সালাম। রাতভর অনেক নাটকীয়তা করে চিহিৃত ঘাতকরা তাদের পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্য সালামকে কুপিয়ে হত্যা করে। পর দিন সকালে বাদে গোরেশপুর গ্রামের দক্ষিনে ধান ক্ষেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক হওয়া বাদে গোরেশপুর গ্রামের জফর আলীর পুত্র মোছদ আলী (৪০), জয়নাল আবেদীন (৪২) ও অজুদ আলী (৫৫), ইছাক আলীর পুত্র সোহেল মিয়া (৩০), অজুদ আলীর পুত্র সালমান হোসেন (২০) ও এমরান হোসেন (২২)কে এ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার দুপুরে তাদেরকে সুনামগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করেছে থানা পুলিশ।
এ মামলার প্রধান আসামী, বাদে গোরেশপুর গ্রামের মৃত আবদুল খালিকের পুত্র, যুক্তরাজ্য প্রবাসী কামরান আবদুল হাই ও একই গ্রামের মৃত আরজদ আলীর পুত্র তাজুল ইসলাম পলাতক রয়েছে।
এদিকে ময়না তদন্ত শেষে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে আবদুস সালামের লাশ দাফন করা হয়েছে তার গ্রামের বাড়ি নৈনগাঁওয়ে।
নিহতের স্ত্রী লাভলী বেগম জানান, আমার স্বামীকে যারা নির্মম ভাবে হত্যা করে তিনটি বাচ্চাকে এতিম করেছে আমি তাদের ফাঁসি চাই।
এ ব্যাপারে দোয়ারাবাজর থানার ওসি মোহাম্মদ নাজির আলম বলেন, ঘটনার সাথে জড়িত ৬জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এ মামলার অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।