সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর আমল গ্রহণকারী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতে ধোপাজান নদীর বালু লুটের অভিযোগে ক্ষতিগ্রস্ত মামলা দায়ের করেছেন। মামলার বাদী সুনামগঞ্জ শহরের আরপিননগরের গোলাম হোসেন।
আদালত মামলা আমলে নিয়ে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কে তদন্তপুর্বক রিপোর্ট প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় লিমপিড ইঞ্জিয়ারিং প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টদের আসামী করা হয়েছে মামলার আইনজীবী নাজমুল হুদা জানিয়েছেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, লিমপিড ইঞ্জিনিয়ারিং নামের কোম্পানী নদীতে নির্দিষ্ট জায়গায় ভিটমাটি উত্তোলনের অনুমতি এনেছে। তারা নির্ধারিত জায়গার বাইরে গিয়ে ড্রেজার মেশিন ব্যবহার করে নদীর পাড় কেটে বালু উত্তোলন করে ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রয় করছে। বাদীর রেকর্ডিয় জায়গা থেকে এই কয়েকদিনে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার বালু বিক্রি করেছে মামলায় এমন দাবি করা হয়। এতে বাদীর জায়গাসহ স্থানীয়দের জায়গা নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। অবৈধকাজে বাঁধা দিলে মারধরের হুমকি দেয় লিমপিড ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।
মামলার বাদী . গোলাম হোসেন বললেন, নদীর পাড়ে আমার আমন জমি রয়েছে। গত ২৭ তারিখ রাতে লিমপেডের ড্রেজার মেশিন লাগায় ওখানে। তাদের প্রায় ৭০ জনের মতো লোক ছিলো। আমি বাঁধা দেওয়ায় তারা হুমকি দিয়েছে। পরে আমি চলে আসি। এতে আমার তিন বিঘা জমি বিলীন হয়েছে। একারণে আদালতে মামলা দায়ের করেছি।
লিমপিড ইঞ্জিয়ারিংয়ের জি এম রাশেদুল হাসান জানান ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ১ কোটি ২১ লাখ ঘনফুট বালু উত্তোলনের অনুমতি দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। সরকারী নিয়মনীতি মেনেই সনাতন পদ্ধতিতে বালু উত্তোলন করা হয়েছে। একটি মহল ষড়যন্ত্র করে এসব অপপ্রচার করছে।