সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সীমান্তবর্তী সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা যাদুকাটা নদী ও শিমুল বাগানে অবৈধ বালু উত্তোলন এবং নদীর পাড় কাটা রোধে বাঁশের বেড়া স্থাপন করেছেন যাদুকাটা-২ বালুমহালের ইজারাদার শাহ রুবেল আহমেদ। একই সঙ্গে তিনি এলাকার নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প বা আনসার ক্যাম্প স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন প্রশাসনের কাছে।
সম্প্রতি জেলা প্রশাসকের কাছে দাখিল করা এক আবেদনে শাহ রুবেল আহমেদ উল্লেখ করেছেন, যাদুকাটা নদী ও শিমুল বাগান সংলগ্ন এলাকা দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। কিন্তু অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, নদীর পাড় কাটা, চাঁদাবাজি ও পরিবেশগত ঝুঁকির কারণে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তিনি আরও জানান, পূর্বের কিছু ইজারাদারের অনৈতিক কর্মকাণ্ড ও বালু খেকোদের কারণে নদীর নাব্যতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ অবস্থায় নদীর ভৌগোলিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি নিজ উদ্যোগে নদীর পাড় রক্ষায় বাঁশের বেড়া স্থাপন করেছেন, যাতে অবৈধভাবে কেউ বালু উত্তোলন করতে না পারে।
যাদুকাটা নদীর বালু মহাল-২ এর ইজারাদার শাহ রুবেল আহমেদ বলেন,“যাদুকাটা নদীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও পরিবেশ রক্ষায় আমি নিজ উদ্যোগে বাঁশের বেড়া স্থাপন করেছি এবং গত ২৬ আগষ্ট প্রশাসনের সহায়তায় এলাকায় একটি অস্থায়ী পুলিশ বা আনসার ক্যাম্প স্থাপনের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন জানাই, যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে এবং পর্যটকরা নিরাপদে ঘুরতে পারেন।”তিনি জেলা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান,
“এলাকার জননিরাপত্তা ও পর্যটন বিকাশের স্বার্থে দ্রুত একটি পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন অত্যন্ত জরুরি।”তাই দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের।
আবেদনে তিনি প্রশাসনের কাছে বালুমহালের বর্তমান ভৌগোলিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে দখল বুঝিয়ে দেওয়া ও স্থায়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলার অনুরোধ জানিয়েছেন।
শাহ রুবেল আহমেদ আরও জানান, আমরা যাদুকাটা নদীর ইজারা প্রাপ্ত হওয়ার পর একটি স্বার্থান্বেষী মহল হাইকোর্টে মামলা করে আমাদের দীর্ঘদিন আমাদের কার্যক্রম থেকে বিরত রাখে। পরে হাইকোর্টের আদেশে আমরা নদীতে কার্যক্রম শুরু করলে ঐ চক্র আবার ও নানা ষড়যন্ত্র শুরু করে। নামে বেনামে অভিযোগ দায়ের ও মিডিয়ার ভূল তথ্য দিয়ে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার অপচেষ্টা করছে। তারা অপ প্রচার চালায় ইজারাদার নদীর পাড় কাটছে। আসল সত্য হলো ঐ এলাকার নদীর পাশে যাদের জমি আছে তারাই এসব করছে নয়তো বিক্রী করে দিচ্ছে।
গত ১২ অক্টোবর সুনামগঞ্জ জেলার আইন শৃংখলা কমিটির সভায় এ নিয়ে কথা উঠলে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ড মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া জানান আমরাও শুনেছি যাদের জায়গা তারাই এর সাথে জড়িত। আমর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিনটি টাস্কফোর্স গঠন করে প্রতিদিনই অভিযান অব্যাহত রেখেছি যারাই পাড় কাটছে কিংবা অবৈধ বালু-পাথর উত্তোলন করছে তাদের ধরা হচ্ছে।