সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
ইউএনও মফিজ হঠাও, বিশ্বম্ভরপুর বাচাঁও এমন শ্লোগানে সুনামগঞ্জ জেলার বিশম্ভরপুর উপজেলার ইউএনও মোঃ মফিজুর রহমানের অপসারণ, নানা অনিয়ম, দূর্নীতির প্রতিবাদে রবিবার সকালে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা চত্বর ও কারেন্টের বাজারে পৃথক দুটি মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রতিবাদ কারীদের অভিযোগ ইউএনও মফিজুর রহমান বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমল থেকেই আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে সীমান্তের চোরাচালান, হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজে অনিয়ম দুর্নীতি করে প্রচুর ফায়দা লুঠেন। বর্তমানে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কিছু নেতাকর্মীদের নিয়ে ঠিক একই ভাবেই অনৈতিক ফায়দা হাসিল করছেন। তার ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে
প্রচুর অর্থ রয়েছে। এছাড়াও অযৌক্তিক প্রকল্প গ্রহন, স্বেচ্ছাচারীতার প্রতিবাদে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সাধারণ মানুষ মানববন্ধন করেন।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মফিজুর রমানের অপসারণ দাবিতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানব বন্ধন চলা কালে ইউএনও’র পক্ষ নিয়ে একদল লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মানববন্ধন কারীদের ওপর হামলা করে। হামলায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন বলে দাবী করেছেন বিক্ষোভকারীরা। তারা জানান, বিশ্বম্ভরপুর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের একাংশের কিছু নেতা কর্মী এই হামলা চালায়। হামলার সাথে জড়িতরা হচ্ছে, ডাঃ আসাদুজ্জামান,সৈয়দ আকরাম হোসেন, সোহাগ তালুকদার, জাহাঙ্গীর, সুহাঙ্গীর,আলমগীর, আরিফ রব্বানী হিমেল, কয়েস আহমদ, শাহ রাজিব, গোলাপ রায়হান, শেকুল ইসলাম, কামাল মেম্বার সহ অর্ধ শতাধিক লোক।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন মোঃ শফিকুল ইসলাম জনি, নুরুল আলম, আব্দুর রব সহ অন্যান্যরা। অভিযুক্ত ইউএনও মোঃ মফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আমি জেলা সদরে ছিলাম শুনেছি আমার বিরুদ্ধে কিছু মানুষ মানববন্ধন করেছেন আবার কিছু লোক তাদের উপর হামলা করেছে।
বিশ্বম্ভরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মুখলেছুর রহমান জানান, মানববন্ধনের বিষয়টি অবগত আছি। হামলার ঘটনা নিয়ে কোন আভিযোগ পাওয়া যায়নি। ।