সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
গত ১৫ এপ্রিল থেকে সুনামগঞ্জ সিলেট সড়কের মদনপুরস্হ
,নব নির্মিত সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত ওয়ার্ড সুবিধা এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসপাতাল চালুর দাবি সহ অন্যান্য দাবীতে অনির্দিষ্টকালের ক্লাস বর্জনের পাশাপাশি সুনামগঞ্জ – সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে আসছে শিক্ষার্থীরা। এরপর পর দিন ও আবার সড়ক অবরোধ করলে সুনামগঞ্জ জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও কলেজ কর্তৃপক্ষ সহ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে জেলা প্রশাসক উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে পর্যায় ক্রমে তাদের দাবী পূরণের আশ্বাসে আপাতত তাদের কর্মসূচী স্থগিত করেন। ২০ এপ্রিল রবিবার আবার ও সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করলে
সেনাবাহিনী শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেবার চেষ্টা করলে, উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে লাঠিচার্জ করে শিক্ষার্থীদের সড়ক থেকে সরিয়ে ক্যাম্পাসে নিয়ে যায় সেনাবাহিনী।
রোববার সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি ছিল। এরআগে মেডিকেল কলেজের সামনে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের মদনপুর এলাকায় সড়কের দুপাশে বাঁশ দিয়ে বেড়িকেড দিয়ে অবরোধ করে তারা। এতে সুনামগঞ্জ সিলেট মহাসড়কের উভয় পাশে কয়েক কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। এসময় পথচারী এবং স্থানীয় লোকজনদের ও ছাত্রদের পক্ষে কথা বলতে দেখা যায়।
প্রথমে সেনাবাহিনী এসে শিক্ষার্থীদের সড়ক ছেড়ে দিতে অনুরোধ করেন। এসময় দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। এরপর লাঠিচার্জ শুরু করে সেনাবাহিনী। প্রায় দেড় ঘন্টা পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় সেনাবাহিনী। এসময় কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। এক পর্যায়ে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে ক্যাম্পাসের ভেতরে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছিল। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন সড়ক ছেড়ে আসার পরও ক্যাম্পাসের ভেতরে এসে তাদেরকে মারপিট করা হয়েছে।
সেনাবাহিনীর মেজর মেজবাহ উদ্দিন উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, সড়ক অবরোধ করায় শিক্ষার্থীদের সরানো হয়েছে। সড়কের পাশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এবং যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রেখে আন্দোলন করলে কোন সমস্যাই হত না ।