সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার মান্নারগাঁও ইউনিয়নের রাজারগাঁও গ্রামের নিহত মকবুল আলী ওরফে মকবুল মিয়ার পরিবারবর্গ ও স্বজনের উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে সুনামগঞ্জ শহরের পৌর মার্কেটে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত মকবুল আলীর স্ত্রী মোছা. রহমতুন নেছা।
তিনি তাঁর বক্তব্যে জানান, মান্নারগাঁও ইউপি’র রাজারগাঁও গ্রামের নিহত মকবুল আলী হত্যা মামলার আসামীরা জামিন পেয়ে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে এবং নানাভাবে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে হয়রানি করছে।
তিনি জানান, বিগত ২২.০৭.২০২৪ ইং সোমবার সকাল অনুমান ৯ টায় ভূমি সংক্রান্ত শত্রুতার জের ধরে আসামীরা মকবুল আলী ওরফে মকবুল মিয়াকে বেদড়ক মারপিট করে। এ ঘটনায় মকবুল আলী মারা যান। এ ঘটনার তিন দিন পর গত ২৫.০৭.২০২৪ইং দোয়ারাবাজার থানায় ৩৪ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে পালিয়ে থাকা আসামীরা আদালত থেকে জামিন নেয়। হত্যা মামলার এসব আসামীরা জামিন পাওয়ার পর বাদী ও তার পরিবারের লোকজনকে নানাভাবে হয়রানি করছে এবং প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে।
তিনি জানান, আমরা যে মকবুল আলী ওরফে মকবুল মিয়া হত্যা মামলা দায়ের করেছি, সেই মামলায় উল্লেখিত আসামীদের মধ্য থেকে কিছু আসামীর নাম চার্জশীট থেকে বাদ দেয় পুলিশ। চার্জশীট থেকে বাদ পড়া আসামীগণ এবং আদালত থেকে জামিন পাওয়া আসামীগণসহ অন্যান্য আসামীগণ আক্রোশমূলকভাবে নিহতের পরিবার ও স্বজনদের চলাফেরায় নানা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে তাদের উপর বেপরোয়া হয়ে উঠেছে আসামীগণ। যেকোনো সময় জানমালের ক্ষতি করতে পারে এমন আশংকা তাদের। রাতের বেলায় ঘর-বাড়িতে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। যেকোনো সময় গরু ছাগল চুরি করা, ঘরের মালামাল লুট করা ইত্যাদি দুশ্চিন্তায় আছেন তারা।
তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করে তাদের জানমালের নিরাপত্তা চান নিহতের পরিবার ও স্বজনেরা।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে নিহতের মেয়ে সুর জাহান বেগম ও নুর জাহান বেগম, ছেলে সুজন মিয়া, স্ত্রী নাজমা বেগম, গোপেন্দ্র কুমার দাস, পঞ্চানন দাসসহ বিভিন্ন মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।