সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
বিশ^ম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মফিজুর রহমান ’র বিরুদ্ধে জনগুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহা সড়ক ঘেঁষে কাটা তারের বেড়া নির্মাণ, অপরিকল্পিত উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করে সরকারি অর্থ অপচয় , ফসল রক্ষা বাধ নির্মাণ প্রকল্প কমিটি গঠনে অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিবাদে মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২০ জানুয়ারি সোমবার বিশ^ম্ভরপুর উপজেলা বিপ্লবী চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য শাহানুর তালুকদার, বৈষ্যম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মোস্তাকিম হাসান শিপু, যুবায়ের আহমদ, মামুনুর রশিদ, শাকিল আহমেদ, শাহ রাকিব, স্বজল খান, মোবারক হাসান, ইমদাদুল হক ইয়াহিয়া, ফখর উদ্দিন মাসুম, খালেদ হোসেন, আশ্রাফুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, ইমাম আহমেদ, নাছিম আহমদ, অলিউর রহমান রহমান অলি প্রমুখ।
সভায় বক্তাগন বলেন বিশ^ম্ভরপুর উপজেলা (জিরো পয়েন্ট) বিপ্লবী চত্বর থেকে উপজেলা পরিষদ প্রশাসক ও নির্বাহী অফিসার এর কার্যালয় পর্যন্ত উপজেলা পরিষদের পরিত্যাক্ত পুকুরের পাড়ে জনগুরুত্ব পূর্ণ আঞ্চলিক মহা সড়ক ঘেঁষে ফুটপাত দখল করে কাটা তারের বেড়া নির্মাণ করে জন চলালে ঝুকি তৈরী করছেন এই ইউএনও ফলে দূর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে এতে সরকারি অর্থ অপচয় হচ্ছে। বিশ^ম্ভরপুর উপজেলা সদরে উপজেলা সাব-রেজিস্টার অফিসের ও উপজেলা প্রশাসনের জায়গায় সরকারি বিধি বহিভূর্ত ৫টি দোকান ঘর কয়েকজন দোকানীকে বরাদ্দ দিয়ে সরকারি কোষাঘারে টাকা জমা না দিয়ে সরকারের রাজস্ব ফাকি দিয়ে আসছেন ইউএনও এবং বে-আইনী ভাবে আদায়কৃত টাকা অফিসার্স ক্লাবের ফান্ডে জমা করছেন।
অপরদিকে উপজেলা পরিষদ প্রশাসন ভবনের সামনে হাওর বিলাশের দৃষ্টিনন্দন ক্যান্টিন উপযুক্ত সংস্কার না করে টিন সেড স্থাপনা হিসেবেই রাখছেন, ফলে হাওর বিলাশে প্রকৃত সুন্দর্য্য বিনষ্ঠ হচ্ছে, অপরদিকে বিশ^ম্ভরপুর উপজেলা সদরের মাল্টি পারপাস সেন্টারটি লাইটিং সহ নানা অব্যবস্থাপনায় অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে ফলে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি দিন দিন কমছে।
ফসল রক্ষা বাঁধ কমিটি গঠনের জন্য কমিটির অধিকাংশ সদস্যদের সাথে পরষ্পর যোগাযোগী মূলে ফসল রক্ষা বাঁধ কমিটি(পিআইসি) গঠন করেছেন মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে । উল্লেখ করা আবশ্যক যে, ৪ নং পিআইসি গঠনে আঙ্গারুলি শনার হাওরের প্রকৃত কৃষক ৫/৭ কমিটি প্রস্তাব করলেও ইউএনও খরচার হাওর পাড়ের ২ কিলোমিটার দূরের কৃষকদের একটি কমিটি অনুমোদন দেন উৎকোচের বিনিময়ে।
ইউএনও অফিসে পর্যাপ্ত লোকবল থাকলেও আলাল নামে একজন সাধারণ নাগরিককে জলমহাল,পিআইসি, বালুমহাল, হাট বাজার সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে ঘুষ গ্রহনের জন্য স্বৈরাচারের দুসর হিসেবে পরিচিত তার ব্যক্তিগত কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ দিয়ে ঘুষ বাণিজ্য অব্যাহত রাখছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্য সহকারি আলআমিন পাউবোর ফসল রক্ষা বাঁধের পিআইসিদের মাধ্যমে উৎকোচ আদায় করছেন।
উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন কমিটি তার অনুগত লোকদের সদস্য করে বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করছেন এবং মিলে মিশে ফায়দা হাসিল করছেন। এডিবি সহ বিভিন্ন কাজ তার পছন্দের টিকাদারের নামে কাগজে কলমে বরাদ্দ দিয়ে তিনি নিজেই টিকাদারী করছেন। সলুকাবাদ বাঘবেড় বাজারসহ বিভিন্ন হাট বাজার স্থায়ী ইজারা না দিয়ে খাস কালেকশনের নামে বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে ইউএনও জনান কাটা তারের বেড়াটি সরিয়ে নিচ্ছেন এবং অন্যান্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।