• ১৪ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২৯শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১২ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

শাল্লায় নদী ভাঙ্গনে বিলীন ঘরবাড়ি,জনপদ ।

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত নভেম্বর ৮, ২০২৪
শাল্লায় নদী  ভাঙ্গনে বিলীন ঘরবাড়ি,জনপদ ।

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দীর্ঘদিন ধরেই কুশিয়ারা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনের ফলে বিলীন হয়ে যাচ্ছে সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলার প্রতাপপুর বাজার ও আশপাশের গ্রামের ঘরবাড়ি ও জনপদ। শুধু ঘরবাড়ি দোকানপাঠ নয় ফসলী জমি ও নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এই এলাকায় হাজার হাজার মানুষের বসবাস থাকলেও নদী ভাঙ্গনে নিঃস্ব হয়ে এলাকা ছাড়ছেন অনেকেই। শতশত একর জমি হারিয়ে পথে বসার উপক্রম। গত কয়েক বছর ধরে ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায় এবছর প্রতাপপুর বাজারটির দোকানপাট নদীর গর্ভে তলিয়ে যাওয়ায় বাজার ব্যাবসায়ীরা পথে বসেছেন। এছাড়াও কুশিয়ারা নদীর ভাঙ্গনে উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের ফয়েজুল্লাহপুর গ্রামেও শতশত পরিবার ভিটে মাটি হারিয়ে অন্যত্রে বসবাস করছে।

 

কুশিয়ারা নদীর আগ্রাসী নদী ভাঙনের থাবায় বিলীন হয়ে যাচ্ছে বসত-ভিটাসহ ফসলি জমি। নদী ভাঙ্গন থেকে উপজেলার প্রতাপপুর ও ফয়েজুল্লাহপুরকে রক্ষা করতে হলে চারিদিক ব্লক বা ড্যামপিং ব্যাবস্থা করে স্থায়ীভাবে ভাঙ্গন রোধের উদ্যোগ গ্রহন করতে সরকারের কাছে দাবী জানিয়েছেন এলাকারমানুষজন।

 

 

প্রতাপপুর গ্রামবাসীর মতে, ভাঙ্গনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাজার, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সহ কয়েক বছরে গ্রামের পুরনো পাড়াগুলো কয়েকটি নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। শুধু তাই নয় প্রতাপপুর বাজার, ফয়েজুল্লাহপুর গ্রাম নদীর গর্ভে বিলীন হওয়ার পথে।

 

সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতাপপুর বাজারটি ভাঙ্গনে পড়েছে। আর পুরনো গ্রাম ভাঙনের কবলে গিয়ে নতুন করে অন্যত্রে বসবাস করে করেও রক্ষা পাচ্ছে। কুশিয়ারা দিনদিন ভয়ানক রুপ ধারণ করে নতুন গ্রামেও ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।

 

এলাকার ভাঙ্গন কবলিত মানুষেরা দ্রুত নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহনের জন্য জনপ্রতিনিধিসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগীতা কামনা করছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতা চেয়েও কোন প্রতিকার মিলছে না ।

 

 

প্রতাপপুর বাজার কমিটির সভাপতি পীযুষ দাস বলেন, কুশিয়ারা নদীর ভাঙ্গনে হুমকির মুখে রয়েছে প্রতাপপুর গ্রাম। এমনকি বাজারের সকল দোকানপাট নদী গর্ভে চলে গেছে। এ ভাবে ক্রমাগত ভাঙ্গন অব্যাহত থাকলে প্রতাপপুর গ্রামসহ আশপাশের এলাকা বিলীন হয়ে যাবে। তিনি আরো জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড গতবছর জিও ব্যাগের নামে বরাদ্দ আনলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পেতে বর্তমান সরকারে সহযোগীতা কামনা করেন তিনি।

 

 

শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মো. তারেক সুলতান জানান, কয়েকদিন হয় আমি যোগদান করেছি। বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজখবর নিয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে একটা ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হবে।

 

 

শাল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারি প্রকৌশলী মো. রিপন আলী জানান, প্রতাপপুরসহ ৫টি জায়গায় নদী ভাঙ্গন রোধ প্রকল্পের জন্য ১০টি প্যাকেজের প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। এখন উর্ধতন কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।