নিজস্বপ্রতিবেদক: বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক,সাবেক সংসদ সদস্য ও সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি কলিম উদ্দিন আহমেদ মিলন বলেছেন,শেখ হাসিনা পালিয়েছে কিন্তু তাদের দোসররা এখনো দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে নানা ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা তাদেরকে আর এই সুযোগ দিবনা। বিগত ১৬ বছরে আলেম-ওলামা সহ বিরুধী দলীয় নেতা -কর্মীদের উপর যে পরিমান জুলুম- নির্যাতন করেছে শেখ হাসিনার সরকার তা ভাষায় বলা যাচ্ছেনা।
সরকার দেশের সম্পদ ও হাজার- হাজার কোটি টাকা
লুঠ করে বিদেশে পাচার করেছে। তাদের পাচারকৃত
সব টাকা দেশে ফিরিয়ে আনাতে তিনি অন্তরর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানান।
বিগত হাসিনা সরকারের লুটপাট ও হত্যা নির্যাতন,গুম এমন আকার ধারণ করেছিলো যা দেশের মানুষের দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায়। যার ফলে জুলাই-আগষ্টের
ছাত্র-জনতার গণঅদ্ভুথানের সৃষ্টি হয়। আর এ গণ অদ্ভুথানে হাসিনার পতন হয়। বাধ্য হয়েই দেশ ছেড়ে পালাতে হয় তাকে। শেখ হাসিনার পালানোর ঘটনা দেশ ও জাতির কাছে ইতিহাস হয়ে থাকবে।
শুক্রবার বিকেলে উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের চৌমুহনী বাজারে ইউনিয়নের ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি
এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত
কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ সভাপতি হাজী সমুজ আলীর সভাপতিত্বে এবং ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সহ শিল্প বিষয়ক সম্পাদক কয়েছ আহমেদ এবং উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক লিজন তালুকদারের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত কর্মী সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য
রাখেন,দোয়ারাবাজার উপজেলা বিএনপির আহবায়ক
ও সাবেক চেয়ারম্যান সামসুল হক নমু, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি আব্দুর রহমান, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আলতাফুর রহমান খছরু, জেলা বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শামছুর রহমান শামছু, জেলা বিএনপির প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সামসুর রহমান বাবুল,জেলা বিএনপির স্থানীয়
সরকার বিষয়ক সহ সম্পাদক,সাবেক কাউন্সিলর জসিম উদ্দিন সুমেন, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হিফজুল বারী শিমুল,উপজেলা কৃষক
দলের আহবায়ক মনির উদ্দিন,দোয়ারাবাজার উপজেলা কৃষক দলের আহবায়ক ফরিদ উদ্দিন। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন,বিএনপি নেতা বেলাল আহমদ।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন,মোশাররফ হোসেন,আলী হোসেন মানিক,খায়ের উদ্দিন, আব্দুল করিম চন্দন, দিলোয়ার হোসেন,মাষ্টার আব্দুস সালাম,কুতুব উদ্দিন, আব্দুল কাইয়ুম,তোফায়েল খান বিপন,মোহাম্মদ আলী, আজর আলী,গোলাম মোস্তফা,আজিজুল ইসলাম, আমজাদ আলী,মামুন মিয়া,বদরুল আলম,সামসুর রহমান,সুয়েদ আহমদ,ফয়ছল আহমেদ,রোমান তালুকদার প্রমুখ।
সভায় বিএনপি নেতা ইমতিয়াজ আলী, আব্দুল আহাদ, হাজী রহমত উল্লাহ,আইয়ুব আলী,মস্তাব আলী,আমির আলী,আজমল আলী কামাল হোসেন, মঈন উদ্দিন, সৈয়দ জুনেদ আহমেদ,মেহেদী হাসান সোনা মিয়া, রমিজ আলী,ফখর উদ্দিন,তোফায়েল আহমেদ,কালা মিয়া,শফিক আলী,আমির উদ্দিন, মামুন আহমদ, উপজেলা স্বেচ্ছা সেবক দলের সভাপতি বাকী বিল্লাহ, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক শফি উদ্দিন,পৌর শ্রমিকদলের সভাপতি মোজাম্মেল হক রুহেল,পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক তারেক আহমদ,স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল হোসেন,দোয়ারাবাজার উপজেলা মৎস্যজীবি দলের আহবায়ক ফারুকআহমদ, জয়নাল আবেদীন রফিক,তানিমুল ইসলাম,আব্দুল মুনিম মামনুন,নোমান ইমদাদ কানন,কামাল উদ্দিন, জালাল উদ্দিন,নুরুল ইসলাম,ইজাজুল হক রনি,মজলু মিয়া,কামরুল হাসান কামরান,স্বাচ্ছা আবেদীন,সাইদুল হক রাহেল,ইমরান হোসেন,লাভলু তালুকদার সিরাজুল ইসলাম,শাহ সোনা আলী,সাদিকুর রহমান,রুহুলআমিন, কাওসার আহমেদ সেবুল,রনি আহমদ,কামাল আহমদ সহ ইউনিয়ন বিএনপি,যুবদল,কৃষকদল,স্বেচ্ছাসেবক দল,শ্রমিকদল, জাসাস ও ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন ক্বারী আব্দুল ওয়াহিদ।