বিবিএন ডেস্ক:ছাতকে থানা পুলিশের পৃথক অভিযানে ৭২ বোতল ভারতীয় মদ এবং ১৫০ বস্তা ভারতীয় চিনি সহ জড়িত
৩ চোরাকারবারিকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার ভোরে পৃথক স্থান থেকে মদ ও চিনি সহ তাদের আটক করা হয়।
পুলিশ সুত্রে জানা যায, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ছাতক থানার এসআই বিন আমিনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ভারতীয় ৭২ বোতল এসি ব্ল্যাক মদ সহ মাদক কারবারি ফজলুর রহমান (৫০) কে আটক করেন। সে উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের নজমপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মতলিবের পুত্র। তার বসতঘরে রক্ষিত অবস্থা থেকে মদ উদ্ধার সহ তাকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় ফজলুর রহমান সহ পলাতক একই গ্রামের ছোরাব আলীর পুত্র আল আমিন (২৭)’র বিরুদ্ধে ছাতক থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা (নং-১২) দায়ের করা হয়। এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ফজলুর রহমাকে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
এদিকে অপর এক অভিযানে ১৫০ বস্তা চিনি সহ দুই চোরা কারবারিকে আটক করেছে থানা পুলিশ।শুক্রবার ভোরে শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার একটি মার্কেটের সামন থেকে একটি মিনি ট্রাকে (নং-ঢাকা মেট্রো ড-১২- ৫২০৭) বোঝাই করা চিনি, ট্রাক সহ তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের মুক্তিরগাঁও গ্রামের ফজর আলীর পুত্র শফিউল আলম (২৭) এবং হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার সনখলা গ্রামের আবু তাহেরের পুত্র আকতার হোসেন (৩৫)।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ছাতক থানার এসআই আখতার উজ জামানের নেতৃত্বে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে পার্কিং করা অবস্থায় ভারতীয় চিনি ভর্তি ট্রাক সহ জড়িত দু’জনকে আটক করে। এসময় চিনির পক্ষে বৈধ কোন কাগজ পত্র দেখাতে পারেনি আটককৃতরা। আটককৃত চিনির বর্তমান বাজার মুল্য সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা বলে জানা গেছে।
চোরাচালানের মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে দেশে আনা ভারতীয় চিনি বিক্রির উদ্দেশ্যে পরিবহণ করায় তাদের বিরুদ্ধে চোরা চালান নিয়ন্ত্রন আইনে ছাতক থানায় ১টি মামলা (নং-১৩) করা হয়েছে। ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম কিবরিয়া হাসান এসবের সত্যতা স্বীকার করেছেন।