• ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সুনামগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন করার প্রতিবাদে এলাকাবাসীর সংবাদ সম্মেলন 

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত অক্টোবর ৬, ২০২৪
সুনামগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন করার প্রতিবাদে এলাকাবাসীর সংবাদ সম্মেলন 
সুনামগঞ্জ প্রতনিধি: : সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গোড়ারং ইউনিয়নের লালপুর গুচ্ছ গ্রামের  মুজিব পল্লীর এক মহিলা কর্তৃক সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের ও সংবাদ সম্মেলন করার প্রতিবাদে পাল্টা  সংবাদ সম্মেলন করেছেন এলাকার শতাধিক নারী পুরুষ। এ সময় অভিযুক্ত
গৌড়ারং   ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ডের টানা দুইবারের ইউপি সদস্য মমিন মিয়া ও উপস্থিত ছিলেন। শনিবার  লালপুর বঙ্গবন্ধু পল্লীতে সংবাদ সম্মেলনে ইউপি সদস্য মমিন মিয়া বলেন, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর লালপুর সংলগ্ন গজারিয়া নদীতে ধোপাজান হতে  অবৈধ ভাবে উত্তোলন কৃত বালুবাহী নৌকা থেকে গৌরারং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপিনেতা ফুল মিয়া ও তার লোকজন চাঁদা আদায় করে আসছিলো। এ ছাড়াও গ্রামের এক কৃষকের জায়গা দখল করেছিল অন্যায়  ভাবে।আমি টানা দুইবারের ইউপি সদস্য হিসেবে এসব অন্যায় কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করেছি। এবং প্রশাসন, সহ অন্যান্য স্থানে লিখিত অভিযোগ ও দায়ের করি।
আর এ কারনেই বিএনপিনেতা ফুল মিয়া আমাকে নানা ভাবে হুমকী ধমকী দিয়ে আসছে। আমি মাস খানেক আগে এ নিয়ে থানায় একটি জিডি ও করি। সর্বশেষ চেয়ারম্যান  তার দ্বিতীয় স্ত্রীর
 আত্মীয় এক মহিলাকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করিয়েছে। এবং আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনও করিয়েছে। এ অভিযোগ মিথ্যা ও সাজানো এবং ষড়যন্ত মূলক।
 আমাকে পারিবারিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে আমি একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে মুজিব পল্লীর ১৪৭ টি পরিবারের সুখে দুখে পাশে থাকার চেষ্ঠা করেছি। ধর্ষণকান্ডের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। অভিযোগে  ঘটনার তারিখ উল্লেখ করেছে ৬ সেপ্টেম্বর বিকাল ৩ টায় আর অভিযোগ দায়ের করেছেন ৩ অক্টোবর। দিনের বেলা ঘটনার উল্লেখ করেছেন কিন্ত এখানকার মানুষ কেউ কিছু জানল না । এতদিন পর থানায় অভিযোগ বিষয়টি রহস্যজনক।
সংবাদ সম্মেলনে শতাধিক নারী পুরুষ উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা লুৎফুর রহমানের স্ত্রী রিনা বেগম, শিরিন আলীর স্ত্রী মায়ারুন,জুয়েল মিয়ার স্ত্রী লাভলী বেগম, কারী আনোয়ার হোসেন, সাবেক ইউপি সদস্য আক্তার হোসেন, নোয়াব মিয়া, জনি মিয়া, আল আমিন সহ অন্যান্যরা জানান এই অভিযোগ একদম মিথ্যা। মেম্বার
এধরনের লোক না, সে এলাকাবাসীর কাজ করে। এ রকম ঘটনা ঘটলে আমরা জানতাম। কিন্ত এতদিন আমরা শুনিনি, এখন হঠাৎ করেই থানায় অভিযোগ রহস্যজনক। আমরা প্রশাসনের কাছে সঠিক বিচার চাই। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফুল মিয়ার বক্তব্য নেয়ার জন্য একাধিক কল করলেও ধরেননি।