লতিফুর রহমান রাজু.সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জ জেলার ১২ উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় ৭৩৪ টি পিআইসির মাধ্যমে ১৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শুরু হয়েছিল গত ১৫ নভেম্বর। ২৮ ফেব্রুয়ারি কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নানা কারণেই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হয়নি। মার্চ মাসে গিয়ে পুরো হাওরের শত ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে এমন দাবী পানি উন্নয়ন বোর্ড সহ সংশ্লিষ্টদের।
২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২ টায় সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে কাবিটা স্কীম প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন কমিটির সভায় এসব তথ্য উপস্থাপন করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টরা। সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ১ মামুন হাওলাদার. নির্বাহী প্রকৌশলী ২ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজন কুমার দাস. কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম. জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন কর্ম কর্তা শফিকুল ইসলাম. শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুজ্জামান নয়ন. পিপি এডভোকেট খায়রুল কবির রুমেন. বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান. সুনামগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাব সভাপতি লতিফুর রহমান রাজু. জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি এডভোকেট বিমান রায় প্রমুখ।
সভায় জেলা প্রশাসক বলেন. হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ প্রায় শত ভাগ সম্পন্ন হয়েছে.সামান্য ফিনিশিং এর কাজ বাকী থাকলেও দু একদিনের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। ইনশাল্লাহ যদি আবহাওয়া আমাদের অনুকুলে থাকে তাহলে চার হাজার কোটি টাকার সোনার ফসল ঘরে তুলতে সক্ষম হবো। ইতিমধ্যেই ধান কর্তন করার যন্ত্রপাতি সহ অন্যান্য সব কিছুই প্রস্তুত রয়েছে। এমনকি দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য ও প্রাথমিক সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করার জন্য সকল ইউএনও দের নির্দেশ দিয়েছি. ইউএনও গণ ও সেভাবেই প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন সকল উপজেলায় জিও বেগ সরবরাহের কাজ চলমান রয়েছে। ইঁদুর ও কাকড়া র গর্তের জন্য বাঁধ প্রতি বছর ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবারও এমন আশঙ্কা রয়েছে। আগামীতে যেন কোন অপয়োজনীয় বাঁধের কাজ না করতে হয় সে জন্য আগেই একটি তালিকা করার আহবান জানান।