বিবিএন ডেস্ক:আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ৭২টি আসনের মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে রংপুরের ৩৩টি ও রাজশাহীর ৩৯টি আসনের মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দলটির সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এসব প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়। সভা শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ তথ্য জানান। সভায় সভাপতিত্ব করেন মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ৭২ টি আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়েছে। আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের গুরুত্বপূর্ণ সভা শেষে বেরিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে তেজগাঁওয়ে দলের ঢাকা জেলা কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে এ তথ্য জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে ৭২টি আসনের মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়েছে। বাদ পড়েছেন বর্তমান কয়েকজন এমপি। বৃহস্পতিবার দুপুরে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শেষে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা জানান।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, পার্লামেন্টারি বোর্ড আজকে দুটি বিভাগ রংপুরে ৩৩টি ও রাজশাহীতে ৩৯টি, মোট ৬৯টি আসনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে আমরা পুরোপুরি সব বিভাগের মনোনয়ন শেষ হওয়া পর্যন্ত ফল প্রকাশ করব না। আমরা একসঙ্গে আমাদের মনোনয়ন ঘোষণা করব আনুষ্ঠানিকভাবে। শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত সভা মূলতবি।
বর্তমান সংসদ সদস্যদের মধ্যে কতজন বাদ পড়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, কয়জন বাদ পড়েছে তা এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। তবে বাদ পড়েছেন। কিছু কিছু বাদ পড়েছেন।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের অফিসে পৌঁছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা। তাঁর সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতে তিনি বক্তব্য দেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জন্য ১৮ নভেম্বর থেকে শুরু করে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত চার দিনে মোট ৩৩৬২টি মনোনয়নপত্র বিক্রি করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে অনলাইনে ১২১ জন ফরম কিনেছেন। এতে দলটির কোষাগারে জমা হয়েছে ১৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর এবং মনোনয়নের আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর। এছাড়া প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। পরে প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৮ ডিসেম্বর, আর নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চলবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। সবশেষ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৭ জানুয়ারি।