ডেস্ক নিউজঃ একাত্তরের রণাঙ্গনের বীরযোদ্ধা,দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল হালিম বীর প্রতীক ব্রেইন স্ট্রোক ও বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
৭০ বছর বয়সী এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে দেখতে বৃহস্পতিবার ওসমানী হাসপাতালে ছুটে যান ছাতক-দোয়ারাবাজার নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক। তিনি বীর প্রতীক আবদুল হালিমের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন এবং তাঁর চিকিৎসার সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেন।
বীর প্রতীক আবদুল হালিমের বাড়ি সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার টেংরাটিলা গ্রামে।১৯৭১ সালে সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র ছিলেন আব্দুল হালিম । মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে এলাকার কয়েকজন ছাত্র-যুবককে নিয়ে তিনি যুদ্ধে যান।
ভারতের রেঙ্গুয়া বাজারে গিয়ে তাঁরা নাম লেখান মুক্তিবাহিনীতে। ইকো-১ ট্রেনিং সেন্টারে এক মাসের ট্রেনিং শেষে তাঁদের পাঠানো হয় ৫ নম্বর সেক্টরের বালাট সাব-সেক্টরে। সেখানে এক যুদ্ধে আহত হন তিনি। বালাট এলাকা সম্পর্কে তাঁদের কোনো ধারণা ছিল না। পরে তাঁদের নিজেদের এলাকায় পাঠানো হয়। তাঁদের মধ্যে মোট ৭৩ জন চেলা সাব-সেক্টরে এসে যোগ দেন।
তিনি দোয়ারাবাজারের টেংরাটিলা, নরসিংপুর, আলীপুর,হাছনবাহার, বালিউড়া, ছাতকের হাদাটিলা ও দুর্বিনটিলা এলাকায় যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন।
মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তাঁকে বীর প্রতীক খেতাব দেওয়া হয়। তিনি বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দোয়ারাবাজারের সুরমা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।