ছাতক (সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জের ছাতকে বন্যায় লাখ লাখ মানুষ পানিবন্ধি থাকলে ৫ দিনে ও বানভাসি মানুষ yকেউ খবর নেয়নি। খেয়ে না খেয়েই আছেন,তাদের খবর কেউ নেয়নি। মেম্বর v.g-চেয়ারম্যানরা কেউ তাদের খোঁজ নেন না বলে ’
বানভাসি মানুষ অভিযোগ করেছেন। বন্যায় ঘর বাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় লাখ লাখ বানভাসি মানুষ জন্য গত বৃহস্পতিবার বিকালে ১৩টি ইউপির ও একটি পৌর সভাসহ প্রায় ২০ টন চাল বরাদ্ধ করেছে সরকার।
এসব এলাকার কর্মজীবী লোকজন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তাদের হাতে কাজ নেই, ঘরে চাল নেই, পকেটে নেই টাকাও। ফলে পরিবার-পরিজন নিয়ে অনেকে অর্ধাহারে-অনাহারে দিনযাপন কাটছেন।
গত শুত্রুবার সকালে ধীরে ধীরে পানি কমলে ও দুপুরের মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে ছাতকে।
এদিকে গোবিন্দগঞ্জ ও ছাতক সড়কের পানি কমলে ও মোটামোটি বড় বড় কোষ্টার যান চলাচল শুরু করছেন বলে ইউএনও মামুনুর রহমান নিশ্চিত করেছেন।
সুরমা, চেলা ও ইছামতি,পিয়াইন নদীর পানি বিভিন্ন স্থানে বিপদসীমার ৫০ থেকে ৬০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন। গত শুত্রুবার সকালে পানির প্রবল শ্রেুাতের কারনে বুড়াইরগাও ও আলমপুর পাকা সড়ক ভেঙ্গে গেছে।
জানাযায়,ছাতক শহর, ছাতক সদর,১টন চাল, ২টন চাল কালারুকা, ১টন চরমহল্লা, ১টন চাল,জাউয়াবাজার, ১টন দোলারবাজার,
১টন চাল ভাতগাঁও, ২ টন চাল
উত্তর খুরমা, ১টন চালদক্ষিণ খুরমা, ১টন চাল
সিংচাপইড়, ২টন চাল গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও, ১টন চাল ছৈলা-আফজলাবাদ,৩টন চাল ইসলামপুর ও ৩টন চাল নোয়ারাই মোট ২০ টন চাউল বরাদ্ধ করা করা হয়। এসব ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। এতে লাখ লাখ মানুষ পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। হাজার হাজার ঘরবাড়ি ও বসত ঘরের মধ্যে হাঁটুপানি, কোমরপানি থাকায় ৫ দিন ধরে হাড়ি বসছে না বানভাসি পরিবারে ঘরে। পাকা,কাচা রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়াসহ কলেজ,মাদ্রাসা,মাধ্যমিক ও প্রাথমিক; শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে পানি ঢোকায় বন্ধ রয়েছে শিক্ষা কার্যক্রম।
সরকারিভাবে বানভাসি মানুষের মাঝে উপজেলা প্রশাসনের উদ্দ্যোগে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছেন বিভিন্ন ইউপির বানভাসি মানুষের মাঝে। গবাদি পশুর খাদ্য সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। উপজেলার বন্যা দুর্গতদের জন্য ৩টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।দুর্গতদের উপজেলা প্রশাসন থেকে শুকনা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।
এ উপজেলার বানভাসি মানুষের মধ্যে ত্রাণের জন্য এখন চলছে হাহাকার। তারা ত্রাণের অপেক্ষায় আছেন। প্রতিদিন শত শত মানুষ যাত্রীবাহী নৌকা দেখলেই ত্রাণ পাওয়ার আশায় ছুটে যাচ্ছেন সেখানে। এতে বন্যাদুর্গত এলাকায় তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।এভাবেই সীমাহীন দুঃখ-কষ্টে দিন কাটছে বানভাসি মানুষের। বিভিন্ন গ্রামে পাড়া মহল্লায় ত্রাণের জন্য হাহাকার দেখা দিয়েছে।
গত শুত্রুবার একাধিক চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা
জানান,তারা পর্যাপ্ত ত্রাণ বরাদ্দ পাচ্ছেন না। গবাদিপশু ও গোখাদ্য নিয়েও চরম বিপাকে পড়েছেন বন্যার্তরা। ফলে ডায়রিয়াসহ নানা পানিবাহিত রোগবালাই দেখা দিয়েছে। যোগাযোগ সড়কের অধিকাংশই পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় গত শুত্রুবার বিকাল থেকে বড় বড় চলাচল শুরু করছেন। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সংকট দেখা দেয়।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রহমান জানান, বন্যার পানি কমতে শুরু করছে বলে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,
বন্যাদুর্গত এলাকায় ১৩টি ইতিমধ্যে সরকারি ভাবে ২০ টন চাউল বরাদ্ধ করা হয়। শুত্রুবার বিকাল থেকে ছাতক গোবিন্দগঞ্জ সড়ক গাড়ি চলাচল শুরু করছে।