• ৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২৩শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ৪ঠা রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

দুই দফা সময় বৃদ্ধির পর ও সুনামগঞ্জের হাওরের ফসল রক্ষাবাঁধের কাজ শেষ না হওয়ায় কৃষকরা উদ্বিগ্ন

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত মার্চ ১৪, ২০২২
দুই দফা সময় বৃদ্ধির পর ও সুনামগঞ্জের হাওরের ফসল রক্ষাবাঁধের কাজ শেষ না হওয়ায় কৃষকরা উদ্বিগ্ন
লতিফুর রহমান রাজু, সুনামগঞ্জ: কাবিটা নীতিমালার আওতায় সুনামগঞ্জ জেলার বোরো ফসল রক্ষার জন্য পিআইসির মাধ্যমে হাওর রক্ষাবাঁধের কাজ প্রথম দফা গত ২৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়ার কথা । কিন্ত সরকারের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে হাওরের ফসল রক্ষাবাঁধের কাজ শতভাগ সম্পন্ন না হওয়ায় সুনামগঞ্জ জেলার কৃষক সহ সাধারণ মানুষ চরম উদ্বিগ্ন । দ্রুত এই কাজ শেষ না করলে আগাম বন্যার আশঙ্কা রয়েছে অভিজ্ঞ দের মতে।পরে দ্বিতীয়বার আরও ১০ দিন সময় বৃদ্ধি করে ১০ মার্চ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাতে ও কাজ শেষ হয়নি।
 সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর দাবী ৮৩ ভাগ মাটির কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে।  স্হানীয় হাওর বাঁচাও আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের মতে শুধু মাটির কাজ আনুমানিক ৭৫ ভাগ শেষ হয়েছে। কিন্ত মাটির কাজের পর ও স্লোব, ঘাস ও  দুর্মুজ করার কাজ বাকী থাকে।  তবে স্হানীয় কৃষক ও বাঁধ নির্মাণের সাথে সংশ্লিষ্টদের দের দাবী সময় মতো হাওরের পানি সরে না যাওয়া এবং সময় মতো অর্থ ছাড় না করার কারণেই বাধেঁর কাজে ধীর গতি।
সুনামগঞ্জ জেলায় বোরো ফসল রক্ষার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক হাওর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কারের জন্য ১ হাজার ৬৮০ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণের জন্য ৭২৪  টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির বা পিআইসির মাধ্যমে এবং ১৩০ টি ক্লোজার বন্ধ করন সহ জেলার ১১ উপজেলার হাওর গুলোতে গত ১৫ ডিসেম্বর কাজ শুরু হয়। শেষ করার কথা ২৮ ফেব্রুয়ারি। এ জন্য সরকারের কাছে ১২২ কোটি টাকার বরাদ্দ চাওয়া হয়। এ পর্যন্ত দুই কিস্তির টাকা ছাড় দেয়া হয়েছে।  বাকী টাকা কবে ছাড় হবে কেউই সঠিক ভাবে বলতে পারছেন না। স্হানীয় হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান বলেন আমি জেলার অধিকাংশ বাঁধ সরেজমিন পরিদর্শন করে বুঝেছি এ পর্যন্ত শতকরা ৭৫ ভাগ মাটির কাজ শেষ হয়েছে। শুধু মাটির কাজ শেষ হলে তো চলবে না। এর পর তো দুর্মুজ করা, স্লোব ঠিক করা ও ঘাস লাগানোর কাজ পুরোটাই বাকী থাকে। ধীর গতির কাজ প্রসংগে তিনি সময় মতো হাওরের পানি না নামা এবং সময় মতো অর্থ ছাড়ের বিষয়কে দায়ী করেন।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী ১ মো জহুরুল ইসলাম বলেন এ পর্যন্ত হাওর রক্ষাবাঁধের কাজ ৮৩ ভাগ মাটির কাজ সম্পন্ন হয়েছে।  তৃতীয় কিস্তির টাকা কবে ছাড় হবে এ ব্যাপারে সঠিক তথ্য দিতে পারছেন না। সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান হাওরের ফসল রক্ষাবাঁধের কাজ শেষ পর্যায়ে।  বাঁধ নির্মাণের কাজে সংশ্লিষ্ট ইউএনও ও এস ও দের কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যাতে সুষ্ট ও টেকসই বাঁধ নির্মাণের।