• ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সৌদি আরবে তাবলিগের বিরুদ্ধে জুমার খুৎবা দিতে প্রজ্ঞাপন জারি

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১১, ২০২১
সৌদি আরবে তাবলিগের বিরুদ্ধে জুমার খুৎবা দিতে প্রজ্ঞাপন জারি

 

বিবিএন ডেস্ক: সৌদী আরবের ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রী ডক্টর আব্দুল লতিফ আলে শায়খের নির্দেশে এ সপ্তাহের জুমার খুতবা তাবলীগ জামাতের বিরুদ্ধে দিতে প্রজ্ঞাপন জারী করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় কর্তৃক লিখিত আরবি খুতবাটিতে তাবলীগী কাজের নিন্দা করা হয়েছে। পাশাপাশি এ জামাতের ওপর দেওয়া হয়েছে বেশ কিছু  অভিযোগ।

বিষয়টি সমাধানে দেশের প্রথিতযশা গবেষক আলেম মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তিনি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছেন। তার পোস্টটি আওয়ার ইসলাম পাঠকের জন্য তুলে ধরা হলো। তিনি লিখেন-

‘আরব আলেমদের উচিৎ তাবলীগী কাজ সম্পর্কে উপমহাদেশীয় আলেমদের সাথে কথা বলে মন্তব্য করা। আওলাদে রাসুল সা. হযরত মাওলানা মুহাম্মাদ রাবে হাসানী নদভী, মাওলানা সাইয়েদ আরশাদ মাদানী, মাওলানা মুফতি তাকি উসমানীসহ বিশ্বের সেরা আলেমদের সাথে কনসাল্ট করতে হবে। এ মুহূর্তে আরববিশ্বে আল্লামা সাইয়িদ আবুল হাসান আলী নদভী ও মাওলানা সাঈদ খান সাহেব প্রভাবিত আলেমগণকে সোচ্চার হতে হবে। দেওবন্দ ও নদওয়ার সন্তানদের মুখ এবং কলম চালাতে হবে।

সউদি সরকারের ফরমান, অভিযোগ ও খুতবা প্রচারের বিষয়ে আমার মূল্যায়ন সউদী বড় আলেমদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। শাসক পর্যায়েও পৌঁছে যাবে ইনশাআল্লাহ। আজ ২০ জন আরব আলেমকে নিয়ে জুম মিটিং হবে। এ ধারা চলতে থাকবে। তারা কারেকশন দিতে পারেন কিন্তু শতবর্ষী একটি দীনি আন্দোলনকে এভাবে একতরফা নিন্দা ও নিরুৎসাহিত করতে পারেন না। মিথ্যা প্রচারণা শুনে তাবলীগী কাজের বিরুদ্ধে অপবাদ দিতে পারেন না।

সউদি প্রজ্ঞাপনটির বক্তব্যে ব্যক্তিগতভাবে খুবই মর্মাহত হয়েছি। তারা একথা কোথায় পেলেন যে, তাবলীগীরা কবরকে সেজদার স্থান বানায়? দুনিয়ার কোথাও এমন নেই, হতে পারে না। তাদেরকে এ কথা তুলে নিতে হবে। সাবকন্টিনেন্টের আলেমদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করতে হবে। বিশ্বের কোটি কোটি তাবলীগ সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।

বিশ্বে উম্মতের সাধারণ দীনি ফিকির,ঈমানী আগ্রহ, ন্যূনপক্ষে সামান্য ঈমান আমলে চর্চা ও শরীয়াসংশ্লিষ্টতা এবং ক্ষেত্রে বিশেষে বেঈমানী আর বেদীনির পরিবেশে মুসলমানিত্বের পরিচয়টুকু ধরে রাখাসহ সারাবিশ্বে মুসলিম সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য এর সমপর্যায়ের বিকল্পও দেখাতে হবে।’