শুক্রবার এজিয়ান সাগরের উপকূলে তুরস্কের ইজমির প্রদেশ এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশি। গ্রিসে আঘাত হানে স্যামোস অঞ্চলে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিলেঅ রিখটার স্কেলে ৭। তবে তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা (এএফএডি) বলেছে, গ্রিনিচ সময় ১১টা ৫০ মিনিটে আঘাত হানা ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিলো রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৬।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা বলেছে, গ্রিসের সামোস দ্বীপের কারলোভাসি থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়। ইস্তাম্বুল ও এথেন্সেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
ভূমিকম্পের পর চিরশত্রু দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের সুযোগ তৈরি হয়েছে। গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোতাকিস তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের প্রতি সমর্থন ও সমবেদনা জানিয়েছেন।
তুরস্কের অ্যাজিয়ান সাগরতীরবর্তী পর্যটন এলাকা ইজমিরে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখানে সুউচ্চ ভবন রয়েছে। ভূমিকম্পে অনেক ভবন ধসে গেছে। ইজমিরের রাস্তায় ভবনের ধ্বংসাবশেষ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। ছড়িয়ে–ছিটিয়ে রয়েছে শিশুদের খেলনা, বালিশ।
তুরস্কের দুর্যোগ ত্রাণ সংস্থা জানায়, ভূমিকম্পে ২৪ জন নিহত হয়েছে ও প্রায় ৮০০ জন আহত হয়েছে। গ্রিসের সামোস দ্বীপে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুই কিশোর দেয়ালচাপায় নিহত হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ভূমিকম্পের ধ্বংসস্তূপ থেকে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়বে।