ছাতক(সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধি,ছাতকে নিখোঁজের ৫দিন পর সুরমা নদীতে মিললো বাল্কহেড শ্রমিক ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শ্রমিক আরিফ আহমদ (২৫) বি-বাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার রাণীদিয়া গ্রামের জয়নাল আবেদীনের পুত্র।
গত শনিবার বিকালে উপজেলা সদর ইউনিয়নের বাউসা গ্রাম সংলগ্ন সুরমা নদীতে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করেন।
জানা যায়, গত ৯ আগষ্ট বিকেলে লাফার্জ হোলসিম কারখানা ঘাটে বাল্কহেড এমভি করিম নেওয়াজ ২ এর ষ্টাফ নৌকার রশি কাটতে গিয়ে সুরমা নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয় শ্রমিক আরিফ আহমদ।
নিখোঁজের দিন রনি আহমদ নামের একজন ম্যানেজার ছাতক থানায় এ ব্যাপারে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ঘটনার পরদিন নিখোঁজের সহোদর শরিফ উদ্দিন একই থানায় রনি,মুজিবুর রহমান,বিল্লাল আহমদসহ ৪জনের নামে আরেকটি সাধারণ ডায়েরি করার পর স্বজনদের পাশাপাশি থানা পুলিশ ও তার সন্ধান খুঁজতে থাকে। তার ভাই শরিফ আহমদ অভিযোগ করেন এমভি করিম নেওয়াজ ২ এর ষ্টাফ ম্যানজার রনি ও মুজিবুর মিলে তার ভাইকে মারপিট করে লুঙ্গি দিয়ে পা বেধে সুরমা নদীতে নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
অবশেষে নিখোঁজের ৫ দিন পর গত শনিবার বিকালে বাউসা গ্রাম সংলগ্ন সুরমা নদীতে তার ভাসমান লাশ দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। এ খবর পেয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ নাজিম উদ্দিন, ওসি (তদন্ত) মিজানুর রহমান ও উপ-পরিদর্শক দ্বীপঙ্কর বিশ্বাস সহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেন। এটি নিখোঁজ আরিফের লাশ বলে তার স্বজনরা সনাক্ত করেছেন।
এব্যাপারে থানার উপ-পরিদর্শক দ্বীপঙ্কর বিশ্বাস নিখোঁজ আরিফের লাশ উদ্ধারের এ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিখোঁজের পর থানায় পৃথক দুটি ডায়েরি করা হয়।
এব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ নাজিম উদ্দিন জানান, বালু ভর্তি বাল্কহেডটি লাফার্জ হোলসিম এর ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়ার আগে রশি কাটতে গিয়ে সুরমা নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয় ঐ শ্রমিক। সে ওই বাল্কহেডের স্টাফ ছিল।
গত রোববার সকালে ময়না তদন্তের জন্য অর্ধগলিত লাশ সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।