• ২৮শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৩ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

ছাতকের পাবলিক খেয়াঘাটে যাত্রী হয়রানি চরমে,অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত আগস্ট ১৪, ২০২১
ছাতকের পাবলিক খেয়াঘাটে যাত্রী হয়রানি চরমে,অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ

 

বিবিএন ডেস্ক: ছাতকে পাবলিক খেয়া ঘাট দিয়ে সুরমা নদী পারাপারে যাত্রী হয়রানি ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ ১২ আগস্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে দেয়া হয়েছে। পাবলিক খেয়াঘাট সংক্রান্ত বিষয়ে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করে অভিযোগে স্বাক্ষর করেছেন, উত্তর সুরমা এলাকার দোয়ারা বাজারের বাংলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন চৌধুরী রানা,

দোয়ারাবাজার সদর ইউপি চেয়ারম্যান এমএ বারী, সুরমা ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার মামুনুর রশীদ, ছাতক পৌর কাউন্সিলর লিয়াকত আলী, নাজিমুল হক, আফরোজ মিয়া, মহিলা কাউন্সিলর নূরেছা বেগম, নোয়ারাই ইউপি সদস্য মইনুল হোসেন রাসেল, সাজ্জাদুর রহমান ও মছব্বির আলী। অভিযোগ থেকে জানা যায়, ছাতক শহরের পশ্চিমবাজার থেকে সুরমা নদীর উত্তর পার নোয়ারাই খেয়া ঘাট, পাবলিক খেয়া ঘাট নামে পরিচিত। সুনামগঞ্জ জেলা তথা বৃহত্তর সিলেটের খেয়াঘাট গুলোর অন্যতম এ ঘাট প্রতিবছর জেলা পরিষদ থেকে এক বছরের জন্য ইজারা দেয়া হয়ে থাকে। যুগ-যুগ ধরে এ ঘাট দিয়ে সুরমা নদীর উত্তর পার ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলার হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন নদী পারাপার হচ্ছেন। ইজারাদার বেআইনীভাবে এ খেয়াঘাটটি সাব ইজারা দিয়ে ঘাট পরিচালনা করছেন। সাব ইজারা গ্রহনকারীরা অধিক লাভের জন্য ভাড়ার কোন তালিকা না সাটিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে যাচ্ছে। তারা ইজারা শর্ত লংঘন করে একজন যাত্রীর কাছ হতে ৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত আদায় করছে। প্রায় সময় ভাড়া আদায়কারীরা নারী-পুরুষ নির্বিচারে যাত্রীদের সাথে খেয়া ভাড়া নিয়ে অসৌজন্যমুলক আচরন করে থাকে। যাত্রীদের সাথে দূর্ব্যবহার করার কারনে প্রতিনিয়ত এ খেয়াঘাটে ভাড়া আদায়কারীদের সাথে যাত্রীদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটছে। খেয়া ভাড়া আদায়কারীদের এহেন আচরন, দূর্ব্যবহার, ভাড়া আদায়ে স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর মধ্যে উদ্বেগ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে যেকোন সময় সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রহমান অভিযোগ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে জানান, বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।