• ১লা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৭ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ৬ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

ছাতক সিমেন্ট কোম্পানিতে হরিলুট চলছে,জড়িত খোঁদ কর্মকর্তারাই!

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত আগস্ট ১৩, ২০২১
ছাতক সিমেন্ট কোম্পানিতে হরিলুট চলছে,জড়িত খোঁদ কর্মকর্তারাই!

 

ছাতক প্রতিনিধি:বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) এর নিয়ন্ত্রণাধীন দেশের একমাত্র পূর্ণাঙ্গ সিমেন্ট কারখানা ছাতক সিমেন্ট কোম্পানিতে চলছে এখন হরিলুট। এসব দেখার কেউ নেই।

ছাতক সিমেন্ট কারখানা আধুনিকায়নে ব্যালেন্সিং মর্ডানাইজেশন রেনোভেশন এন্ড এক্সপেনশন (বিএমআরই) প্রকল্পের ৮৯২ কোটি টাকার কাজ একদিকে শুরু হয়েছে অন্যদিকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ছাতক সিমেন্ট কোম্পানি। এই কারখানায় উৎপাদিত ডায়মন্ড ব্র্যান্ডের সিমেন্টের চাহিদা ও খ্যাতি রয়েছে দেশের বাইরেও। সিমেন্ট কোম্পানিতে উৎপাদন চালু রেখে নতুন প্রকল্পের কাজ করার কথা থাকলেও পুরাতন কোম্পানিটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

আন্তর্জাতিক টেন্ডারের মাধ্যমে কার্যাদেশ পেয়ে চীনের নানজিং সি-হোপ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ৮৯২ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন প্রকল্পের কাজে হাত দেয়। কাজ শুরুর পর থেকেই পুরাতন কোম্পানিটি যেমন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।

এদিকে ১৯৩৭ সালে প্রতিষ্ঠিত ডায়মন্ড ব্র‍্যান্ডের সিমেন্ট কারখানাটি চালু রেখেই নতুন প্রকল্প নির্মিত হওয়ার কথা থাকলেও চুনাপাথর সংকটের কারণ দেখিয়ে কারখানাটি বন্ধ রাখা হয়েছে। অন্যদিকে এই কারখানাটিকেই পুজি করে একটি মহল প্রকল্পের টাকা লুটপাটে মেতে উঠেছে। কারখানার বিভিন্ন অংশ কেটে ও ভেঙ্গে দেয়ার অজুহাতে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তারা। লক্ষ লক্ষ টাকার যন্ত্রাংশ ও স্ক্রাপ মাল চোরাই পথে বিক্রি করা হচ্ছে। কোম্পানির ভূমি, জলাশয়, ঘাট ভাড়া দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে কর্মকর্তারা। কোম্পানির ভূমিতে ইট, বালু, পাথরের ডাম্পিং করছে ব্যবসায়ীরা।

ঐতিহ্যবাহী কোম্পানির (কোম্পানি ঘাট নামে পরিচিত) ঘাটটিও ব্যবহার করছে সেভেন রিং সিমেন্ট ও আকিজ সিমেন্ট। সুরমা নদীর দক্ষিণ পাড়ে এ ঘাটের অবস্থান। এখানে কোম্পানির একটি গোদামও রয়েছে। সরকারি কোম্পানির এ ঘাটটি ছাতক সিমেন্টের ব্যবহারের কথা থাকলেও কোম্পানি কর্তৃপক্ষ এ ঘাটটি ভাড়া দিয়েছে আকিজ ও সেভেন রিং সিমেন্টের কাছে।

স্থানীয় একাধিক লোক কোম্পানির বিভিন্ন জায়গা ও ঘাট ভাড়ার বিষয়টি জানালেও ছাতক সিমেন্ট কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এফ এম বারী এসব বিষয় অস্বীকার করেন।