বিবিএন ডেস্ক: ১২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইংল্যান্ডের নরল্যান্ড কলেজের পরিচিতি বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাবান আয়া প্রশিক্ষণ স্কুল হিসেবে। এখানকার স্নাতকেরা ধনী পরিবারে কাজের সুযোগ পায় আর প্রতি বছর এক লাখ ডলারের বেশি আয় করে থাকে।
১৮০০ শতকে কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন এমিলি ওয়ার্ড। ওই সময়ে তিনি বুঝতে পারেন চাইল্ডকেয়ার প্রশিক্ষণের কোনও আনুষ্ঠানিক সুযোগ নেই। আর সেই অভাব দূর করতেই নরল্যান্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। খুব দ্রুত এটি হয়ে ওঠে বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত আয়া প্রশিক্ষণ স্কুল। রাজ পরিবার ছাড়াও এসব আয়াদের পেতে মরিয়া হয়ে ওঠে ধনী পরিবারগুলো।
কলেজটির কোনও কোনও স্নাতক বছরে এক লাখ ৭০ হাজার ডলার পর্যন্ত আয় করে থাকেন। শুধু তাই নয়, শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় অনেকেই অভিজাত প্রশিক্ষণের সময় ৪০ হাজার ডলার আয় করেন। যুক্তরাজ্যের একজন সাধারণ আয়ার আয় থেকে যা অন্তত চারগুণ বেশি।
অভিজাত এসব আয়া রান্না, নিপুণ সেলাই ছাড়াও অর্পিত দায়িত্ব সামলে থাকেন। তবে এগুলো নরল্যান্ড কলেজের চার বছরের কোর্সের খুবই সামান্য অংশ। এসব আয়ারা দক্ষতার সঙ্গে বদমেজাজ সামাল দেওয়া থেকে শুরু করে সংকট নিরসন কৌশল, আত্মরক্ষা, সাইবার নিরাপত্তাসহ বহু বিষয়ে প্রশিক্ষণ পেয়ে থাকেন।
তবে নরল্যান্ড কলেজে পড়ার সুযোগ সবাই পান না। চার বছর কলেজটিতে পড়তে প্রতি বছর ব্যয় হয় ২০ হাজার ডলার, যা অক্সফোর্ড বা ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার খরচের চেয়ে বেশি। তারপরও উচ্চ বেতনে চাকরির সুযোগ আর প্রথম কিংবা দ্বিতীয় বর্ষ থেকেই বছরে ৪০ হাজার ডলার আয়ের সুযোগের কারণে অনেকেই কলেজটিতে পড়তে আগ্রহী হয়ে থাকেন।
কেবল অর্থ থাকলেই হয় না। সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে প্রার্থীদের সৃষ্টিশীলতা, সততা, দায়িত্বশীলতা এবং সংঘবদ্ধতার গুণের পরীক্ষা নেওয়া হয়ে থাকে।
সবচেয়ে ব্যয়বহুল হওয়ার পরও নরল্যান্ডের আয়াদের চাহিদা সবসময়ই বেশি। এতোটাই বেশি যে এর প্রত্যেক স্নাতকের বিপরীতে চাহিদা থাকে ছয় জনের। বেশিরভাগ আয়ার চাকরির ডাক লন্ডনের ধনী পরিবার থেকে আসলেও চীন, যুক্তরাষ্ট্র এবং মধ্যপ্রাচ্যেও কাজের সুযোগ পান তারা।