বিবিএন ডেস্ক: বিমান বাংলাদেশের এয়ারলাইন্সের সিলেট-লন্ডন-সিলেট রুটে আবারও ফ্লাইটের সময় সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে। আগে সপ্তাহে সিলেট-লন্ডন রুটে দুটি ফ্লাইট ফ্লাইট চালু থাকলেও এখন থেকে একটি ফ্লাইট চালু থাকবে। চলতি মাস থেকেই সিদ্বান্ত কার্যকর হওয়ার কথা।
হটাৎ বিমান বাংলাদেশের এমন সিদ্বান্তে বিপাকে পড়েছেন সিলেট-লন্ডন রুটের যাত্রীরা।
আগে সিলেট-লন্ডন-সিলেট রুটে সপ্তাহে দুটি ফ্লাইট আসা যাওয়া করতো। যাত্রীরা সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরাসরি ফ্লাইটে যুক্তরাজ্যে আসতে পারতেন। আবার যুক্তরাজ্যের যাত্রীরাও সরাসরি ফ্লাইটে সিলেট যেতে পারতেন। বিশেষ করে সিলেট বিভাগের মানুষজনের সুবিধার জন্য এই ফ্লাইট চালু করা হয়েছিল।
কিন্তু ফ্লাইট সংখ্যা কমে যাওয়ায় বিমানের টিকেটের দাম বাড়ারও আশঙ্কা করছেন যাত্রীরা।
তবে, বিমান বাংলাদেশ ফ্লাইট সংখ্যা কমালেও অন্য আরও কয়েকটি এয়ারলাইন্স যাত্রী পরিবহন অব্যাহত রেখেছে। সেক্ষেত্রে সিলেটের যাত্রীদের ঢাকা থেকে যুক্তরাজ্যের ফ্লাইট ধরতে হবে। পথে নিতে হবে যাত্রা বিরতি।
ট্রাভেল এজেন্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জুলাই মাসে বিমান বাংলাদেশ থেকে জানানো হয় আগস্ট মাস থেকে সিলেট- লন্ডন-সিলেট রুটে ফ্লাইট পরিবর্তন করা হয়েছে। আগে সপ্তাতে দুটি ফ্লাইট যাওয়া আসা করলেও চলতি মাস থেকে একটি ফ্লাইট আসা যাওয়া করবে। করোনা ভাইরাসের কারণে সিলেট থেকে লন্ডগামী যাত্রী বেশি থাকলেও লন্ডন থেকে সিলেটগামী যাত্রী কম থাকায় বিমান বাংলাদেশ এ সিদ্বান্ত নিয়েছে বলে মনে করছেন ট্রাভেল এজেন্টরা।
যুক্তরাজ্যের ট্রাভেল লিংকের সত্বাধিকারী সামি সানা উল্লাহ সংবাদ মাধ্যমকে জানান, গত মাসে বিমান বাংলাদেশ চলতি মাসে তাদের ফ্লাইট সংখ্যা কমাবে বলে জানিয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিমানের টিকেটের চাহিদাটা খুব বেশি, যেহেতু সিলেট থেকে লন্ডনের সরাসরি ফ্লাইট আছে। সবাই চায় সরাসরি লন্ডন আসতে। অভ্যন্তরীন অথবা সড়ক পথে ঢাকা গিয়ে ফ্লাইট ধরতে চায় না। এমিরেটস এয়ারলাইন্স, তার্কিস এয়ারলাইন্স, কাতার এয়ারওয়েজ, গালফ এয়ারের ফ্লাইট চালু আছে, বিমান বাংলাদেশের টিকেট না পেলে ঢাকা হয়ে আসার চেষ্টা করতে হবে যাত্রীদের।
সিলেটের এক ট্রাভেল ব্যবসায়ী বলেন, যুক্তরাজ্যে যেতে এমনিতেই কোয়ারেন্টাইনসহ নানা ঝক্কিঝামেলা পোহাতে হয় যাত্রীদের, বিমানের ফ্লাইট সংখ্যা কমলে যাত্রীদের দুর্ভোগ দ্বিগুন হবে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৪ অক্টোবর সিলেট-লন্ডন রুটে বিমান বাংলাদেশের সরাসরি ফ্লাইট চালু হয়।