বিবিএন ডেস্ক:  ছাতকের পল্লীতে অসামাজিক কর্মকান্ডে লিপ্ত একটি পরিবারের বিরুদ্ধে ক্ষীপ্ত হয়ে উঠেছে গ্রামবাসী। মা-মেয়ে মিলে গ্রামের বাড়িতে মিনি পতিতালয় গড়ে তোলায় তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে গ্রামবাসী স্বাক্ষরিত একটি আবেদন সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে দেয়া হয়েছে। গ্রামে তাদের বিভিন্ন অপকর্মের প্রতিবাদে মা মনোয়ারা বেগম ও মেয়ে শ্যামা আক্তারের বিরুদ্ধে এক সংবাদ সম্মেলন করে তাদের অপকর্ম তুলে ধরা হয়। গত শুক্রবার বিকেলে ছাতক প্রেসক্লাবে গ্রামবাসীর ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের বেতুরা-আছদনগর গ্রামের বাসিন্দা আলকাছ আলী। লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, বেতুরা গ্রামের আমিন মিয়ার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম ও তার মেয়ে শ্যামা আক্তার গ্রামে মিনি পতিতালয় গড়ে তুলেছে। এতে গ্রামের যুব ও ছাত্র সমাজ মারাত্মক অবক্ষয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে। প্রতিদিনই বহিরাগত লোকজনের আনাগোনা চলছে তাদের ঘরে। তারা ইমো ও ওয়াটসআপের মাধ্যমেও তাদের অশ্লীল ভিডিও এবং ছবি দেখিয়ে অবৈধ অর্থ উপার্জনেও জড়িয়ে পড়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়। বর্তমানে মা-মেয়ের উলঙ্গ ছবি যুব সমাজের হাতে-হাতে পৌছে গেছে। তাদের অপকর্মে কেউ প্রতিবাদী হলেই তাকে নারী নির্যাতন ও ধর্ষনের চেষ্টা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ারও হুমকি দিয়ে থাকে তারা। গ্রামের মুরুব্বী, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুর রহিম এর তীব্র প্রতিবাদ করে এসব অপকর্ম বন্ধ করার পরামর্শ দেন তাদেরকে। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে মা মানোয়ার বেগম ও মেয়ে শ্যামা আক্তার ৭০ উর্ধ্ব আব্দুর রহিম ও তার চার ছেলের বিরুদ্ধে ছাতক থানায় ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করে। এ মিথ্যা ও সাজানো মামলায় আব্দুর রহিম বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছেন। এতেও ক্ষান্ত হয়নি তারা। গ্রামের এরকম প্রবীন ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেও তারা অশালিন মন্তব্য করে যাচ্ছে। তাদের অসামজিক কর্মকান্ডে গ্রামের মানুষ অতিষ্ট ও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। ছাতক থামার এক এসআই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার পক্ষপাতমুলক ও রহস্যজনক আচরনে গ্রামের মানুষ মর্মাহত হয়েছেন বলে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়েছে। ওই অপকর্মকারী মা-মেয়ের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবী জানান সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত লোকজন। পাশাপাশি আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুর রহিমের নিঃশর্ত মুক্তি ও তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রতাহারের দাবী জানান তারা। সংবাদ সম্মেলনে বেতুরা-আছদনগর গ্রামের আব্দুল মতলিব, সমছু মিয়া, আলী মাসুক উপস্থিত ছিলেন।