• ১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৫ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

খুলনার রূপসায় সংখ্যালঘুদের দোকানপাট ও মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত আগস্ট ৮, ২০২১
খুলনার রূপসায় সংখ্যালঘুদের দোকানপাট ও মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর

বিবিএন ডেস্ক:  খুলনার রূপসা উপজেলার শিয়ালী গ্রামে ৪টি মন্দির এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের ৬টি দোকান ও একটি বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ওই গ্রামে উপস্থিত হন। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

গতকাল শনিবার (৭ আগস্ট) বিকাল পৌনে ৬টার দিকে শতাধিক দুর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ওই গ্রামে হামলা চালায়।

খুলনায় দুর্বৃত্তের হামলা চালিয়ে মন্দির ভাংচুর করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে শতাধিক যুবক রামদা, চাপাতি, কুড়াল নিয়ে শিয়ালি গ্রামে হামলা চালায়। তারা অতর্কিতভাবে বাজারের বিভিন্ন দোকান ভাঙচুর করে। এ সময় শিবপদ ধরের বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট করা হয়। তারা সেখানকার কয়েকটি মন্দিরেও ভাঙচুর করে। এ সময় কয়েকজন বাধা দিতে এলে তাদের পিটিয়ে আহত করা হয়। এলাকাবাসী প্রতিরোধ তৈরি করার আগেই হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর সময় একটি নলকূপ এর পাইপ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে দুর্বৃত্তরা। ছবি: ভোরের কাগজ

এলাকাবাসীর অভিযোগ, শিয়ালি গ্রামের এক বখাটে যুবক এই কাজে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি পাশের চাঁদপুর গ্রামের যুবকদের উসকানি দিয়ে ভাঙচুরে যুক্ত করেছে। রূপসা থানা পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সভাপতি শক্তিপদ বসু বলেন, শেয়ালি বাজারের বেশ কিছু দোকান, বাড়িসহ ছয়টি মন্দিরে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়েছে।

দৃর্বত্তদের ভাঙচুরের চিহ্ন। ছবি: ভোরের কাগজ

রূপসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবাইয়া তাছনিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন। তিনি শনিবার রাতে গণমাধ্যমে বলেন, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় আছি। জেলা প্রশাসন এবং জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত আছেন। পরে বিস্তারিত জানানোর কথা বলেন তিনি।

এদিকে এ ঘটনায় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ বিবৃতিতে নিন্দা জানিয়েছে এবং অপরাধীদের খুজে বের করতে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন।(ভোরের কাগজ)