বিবিএন ডেস্ক: করোনাভাইরাসের সংক্রমণে সিলেটে প্রায় প্রতিদিনই মৃত্যুর সংখ্যা, আক্রান্তের সংখ্যা ও হারের নতুন নতুন রেকর্ড হচ্ছে। এরসঙ্গে প্রতিদিনই বাড়ছে টিকা নিতে আগ্রহীদের সংখ্যাও। তবে, টিকা নিতে রেজিস্ট্রেশন করে নিয়মানুযায়ী মোবাইলে মেসেজ পাওয়ার পর টিকাকেন্দ্রে যাওয়ার নির্দেশনা থাকলেও, প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ মেসেজ ছাড়াই ভিড় করছেন সিলেট নগরীর টিকাকেন্দ্র এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
উপচে পড়া এ ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতালে টিকাদানে দায়িত্বরত নার্স ও রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবীরা। এতে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন হলেও মানবিক দিক বিবেচনায় কাউকেই টিকা না দিয়ে ফেরত দিচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আজ বুধবার এ হাসপাতালের বহির্বিভাগের পঞ্চম তলার টিকাদানকেন্দ্রে টিকা দিতে যান নগরীর ধোপাদিঘীর পাড়ের ব্যবসায়ী কাজী শাহবাজ হোসেন। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘টিকা নিতে আসার মেসেজ পাওয়ার পর টিকা নিতে গিয়ে দেখি মেসেজ ছাড়াও অসংখ্য মানুষ লাইনে দাড়িয়ে আছেন। আর এতে স্বাস্থ্যবিধি ভেঙে লম্বা লাইনে ঘন্টাখানেকের বেশি সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে, ভিড় ধাক্কাতে হয়েছে। সবমিলিয়ে খুবই উদ্বেগজনক অবস্থা।’
দুপুরে হাসপাতালে টিকাদানের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে গিয়েছিলেন দ্য ডেইলি স্টারের আলোকচিত্রী শেখ নাসির। তিনি জানান, পাঁচ তলায় টিকাগ্রহীতাদের অপেক্ষা কেন্দ্র, টিকাদানের প্রতিটা বুথসহ মাঝখানের লবি, কোথাও একটুও দাঁড়ানোর জায়গা নেই। এছাড়া, টিকা নিতে আগ্রহীদের লাইন হাসপাতালের পাঁচ তলা থেকে দ্বিতীয় তলার সিঁড়ি পর্যন্ত দেখা গেছে।
এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘টিকাদান যখন প্রথম শুরু হয়েছিলো, তখন ১২টি বুথ দিয়ে কার্যক্রম শুরু হয়। পরে টিকার সংকটে ৩টি বুথ চালু ছিল। গতমাসে টিকাদান কর্মসূচি আবার চালু হলে পর্যায়ক্রমে ৯টি বুথে টিকাদান চলছে।’