এরমধ্যে একজন নারী জানান, তিনি যখন লিফট ছিলেন তখন একজন গার্ড তাকে শারীরিক সম্পর্কের জন্য প্রস্তাব দেয়। এবং জানতে চায় এতোদিন হোটেল কোয়ারেন্টাইনে তিনি একা কিভাবে থাকবেন। অন্যদিকে আর এক নারী অভিযোগ করেন, রুমে খাবার দিতে এসে আর একজন বয় তাকে জড়িয়ে ধরেন এবং জোড় করে সেলফি তোলেন।
এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, যে চারজন নারী এই অভিযোগগুলো করেছেন তারা সবাই জিফোরএস সিকিউরিটি কম্পানীর কর্মরত স্টাফ। বিষয়টি নিয়ে এই কম্পানীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের স্টাফদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করবেন।
যুক্তরাজ্য সরকার লাল তালিকাভুক্ত দেশগুলো থেকে যারা আসবেন তাদের জন্য ১০ দিনের হোটেল কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করেছে। হোটেলে বাধ্য হয়ে অনেক নারীকে একা থাকতে হচ্ছে। কিন্তু নারীদের নিরাপত্তা দিতে হোটেল কতৃপক্ষ ব্যর্থ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন এই নারীরা। বিষয়টি নিয়ে নটিংহ্যাম হাসপাতালের নার্স মেরি সিডেল জানান, তিনি গত মাসে তিনি ভ্রমন করে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেন। এই সময় হোটেলে থাকা অবস্থায় তিনি অ্যামাজনে কিছু জিনিসের অর্ডার করেন। আর এই পার্সেল গুলো রুমে ডেলিভারি দিতে আসে হোটেলের গার্ড। মেরি জানান, তিনি গার্ডদের পার্সেল গুলো রুমের সামনে রেখে চলে যেতে বলেন। কিন্তু ১৫ মিনিট পর যখন তিনি রুম খুলেন । তখন তিনি দেখতে পায় দুইজন গার্ড দরজার সামনে দাড়িয়ে রয়েছে। তারা তখন জোর করে মেরির হাত ধরে এবং বলে তারা মেরি সাথে ছবি তুলতে ও জড়িয়ে ধরতে চায়। বিষয়টি নিয়ে এই নার্স বলেন, তাৎক্ষনিক সে তার রুমের দরজা বন্ধ করে দেয় এবং যে কয়দিন হোটেলে ছিলেন, সেই কয়দিন সে মানসিক ভাবে অসুস্থ্য অবস্থায় ছিলেন।
বিষয়টি নিয়ে উইম্যান জাস্টিস ডিরেক্টর হ্যারিট জানান, কোয়ারেন্টাইনে দিয়ে নারীদের নিরাপত্তা দিতে দেশ ব্যর্থ হচ্ছে। একটি নিয়ম চালু করলে তার যথাযথ ব্যবস্থা ও সুরক্ষাও সরকারের করা উচিত।(রানার মিডিয়া)