বিবিএন ডেস্ক: প্রখ্যাত সাংবাদিক কলামিষ্ট ও আইনজীবী এডভোকেট হোসেন তৌফিক চৌধুরী বলেছেন, সুনামগঞ্জের সাহিত্য সংস্কৃতি সৃষ্টির পেছনে ডাক্তার করম আলীর অসমান্য অবদান রয়েছে। তিনি শুধু মোহাম্মদপুরের নন তিনি ছিলেন গোটা সুনামগঞ্জের কৃতি সন্তান, তিনি ছিলেন প্রজ্জলিত বাতি। তার সততা ও নিষ্ঠা ন্যায়পরায়নতা ছিল তার জীবনের ভূষণ। ডাক্তার করম আলীর এই শূন্যতা সহজে পূরন হবার নয়। তাঁর ইন্তেকাল সুনামগঞ্জবাসীর অপূরনীয় ক্ষতি।
এডভোকেট হোসেন তৌফিক চৌধুরী গতকাল শুক্রবার রাতে সুনামগঞ্জ পৌরসভার মোহাম্মদপুর এলাকাবাসীর উদ্যোগে মরহুম ডাক্তার করম আলী স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এডভোকেট হোসেন তৌফিক আরও বলেন, ডাক্তার করম আলী ইসলামি চিন্তা চেতনা আদর্শ লালন করতেন। তার লেখনির মাধ্যমে মানুষকে তিনি সে পথেই আহবান করেছেন। তিনি শিরক বেদাত মুক্ত সমাজ গঠনে কবর পূজা বই প্রকাশের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
সুনামগঞ্জ দ্বীনি সিনিয়র মডেল আলীম মাদ্রাসার সাবেক প্রিন্সিপাল ও মোহাম্মদপুর জামে মসজিদের সভাপতি মাওলানা আনোয়ার হোসেন আব্দুল্লাহ’র সভাপতিত্বে ও শিশু কিশোর সংগঠক শাহ মুশাহিদ আলম ফয়ছলের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আলোচনা সভা বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক শিক্ষাবিদ মাষ্টার আর্শাদ আলী। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আলহেরা ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, দ্বীনি সিনিয়র মডেল আলীম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আলী নূর, বিশিষ্ট মুরব্বি ও শিক্ষাবিদ মাষ্টার আব্দুল কাদির, বিশিষ্ট মুরব্বি খুরশিদ আলম, সাবেক পৌর কমিশনার আহমদ আলী, প্রিন্সিপাল আজিজুল হক মাসুক, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বদরুল কাদির শিহাব, দৈনিক যুগান্তর এর জেলা প্রতিণিধি সিনিয়র সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান পীর, সিলেট প্রেসক্লাবের সদস্য সাংবাদিক মোহাম্মদ এনামুল হক, ও ডাক্তার করম আলীর পরিবারের পক্ষে বক্তব্য রাখেন মরহুমের নাতি আব্দুস সাত্তার মোহাম্মদ মামুন।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ডাক্তার করম আলী সমাজের প্রতিটি সেক্টরে কাজ করেছেন। তার কাজের মধ্য দিয়েই তিনি মানুষের কাছে মহিয়ান হয়ে থাকবেন। তারা বলেন, তিনি আজীবন একটি ইনসাফপূর্ন কল্যানময় সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছেন এবং মৃত্যুর আগ মুহুর্ত পর্যন্ত তিনি তার আদর্শ ও বিশ্বাসের প্রতি অটল অবিচল ছিলেন। তার রেখে যাওয়া আদর্শ ও স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে তার কর্মময় জীবন থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। বক্তারা ডাক্তার করম আলীর স্মৃতি রক্ষার্থে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তাকে তুলে ধরতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানান।
আলোচনা সভা শেষে মোনাজাত পরিচালনা করেন মোহাম্মদপুর জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুল ওয়াদুদ নোমান।