নিহত শরিফা বেগম ওসমানীনগর উপজেলার উসমানপুর ইউনিয়নের তাহিরপুর গ্রামের আরশ আলীর স্ত্রী ও হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার পুটিয়া গ্রামের শাকিম উল্যার মেয়ে। হত্যাকান্ডের ঘটনায় আটকৃকতরা হলেন- আরশ আলী ও তার মা মিনারা বেগম।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ৯ মাস আগে আরশ আলীর সাথে শরিফার বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে স্বামী ও শাশুড়ি মিলে যৌতুকের জন্য শরিফা বেগমকে নির্যাতন শুরু করেন। চলতি রমজান মাসে চাহিদামতো ইফতারি না আসা ও বরের জন্য আলাদা থাল সাজিয়ে না পাঠানোর কারণে ৭ মাসের অন্ত:স্বত্তা শরিফার উপর স্বামী-শাশুড়ির নির্যাতন বেড়ে যায়।
এ নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় শাশুড়ির সাথে শরিফার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে স্বাশী ও শাশুড়ি মিলে তাকে বেধড়ক মারপিট করেন। বিষয়টি মোবাইল ফোনে শরিফা তার ভাইকে জানায়। গত শনিবার শরিফার বড় বোন শিপন আক্তার ঈদের কাপড় নিয়ে শরিফার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। পথিমধ্যে শরিফার ভাসুরের মাধ্যমে খবর পান তার বোন খুব অসুস্থ। এর কিছুক্ষণ পর শরিফার স্বামীর বাড়ি থেকে খবর আসে সে আত্মহত্যা করেছে। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ শরিফার স্বামী আরশ আলী ও শাশুড়ি মিনারা বেগমকে আটক করে। রবিবার তাদেরকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন ওসমানীনগর থানার ওসি শ্যামল বনিক