• ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

চীনা রকেটের ধ্বংসাবশেষ আঘাত হানতে পারে ইতালির ভূপৃষ্ঠে!

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত মে ৮, ২০২১
চীনা রকেটের ধ্বংসাবশেষ আঘাত হানতে পারে ইতালির ভূপৃষ্ঠে!

বিবিএন নিউজ ডেস্ক: ইতালির ভূপৃষ্ঠে আঘাত হানতে পারে চীনের রকেট লং মার্চ ৫বি’র ধ্বংসাবশেষ। এ নিয়ে দেশিটিতে তোলপাড় শুরু হয়েছে। দেশটির মহাকাশ সংস্থার দেওয়া বিপজ্জনক এরকম তথ্যে চারিদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে এরইমধ্যে ইতালির মধ্য-দক্ষিণাঞ্চলের ঝুঁকিপূর্ণ ১০ বিভাগের জনগণকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।৮ ও ৯ মে শনিবার ও রোববার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার জনগণকে অতিরিক্ত সতর্ক থাকার বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে ৭ মে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি জরুরি বৈঠক করেন জাতীয় জননিরাপত্তা সংস্থা সিভিল প্রটেকশন ডিপার্টমেন্টে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, চীনা রকেট লং মার্চের ধ্বংসাবশেষ পৃথিবীতে আঘাত হানার সম্ভাব্য সময় ৯ মে রোববার ইতালির স্থানীয় সময় ভোর ২টা ২৪ মিনিট অর্থাৎ ৮ মে শনিবার দিবাগত রাত।

তবে ধারণা করা হচ্ছে ধেয়ে আসা খণ্ডিত রকেটের সঙ্গে বায়ুমন্ডলের ঘর্ষণ এবং সূর্যের প্রভাবজনিত প্রাসঙ্গিক কারণে সম্ভাব্য অঘটন ৬ ঘণ্টা আগে-পরেও হতে পারে।

এর ফলে ইতালির মধ্যাঞ্চল এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় সবকটি বিভাগে সতর্কতা জারি করে শনি ও রোববার জনগণকে যার যার আবাসস্থলে ও অফিস ভবনে বদ্ধ জায়গায় থাকতে সরকারি নির্দেশনায় বলা হয়। তবে চীনা রকেট ঠিক কোথায় আঘাত হানতে পারে তা এই মুহূর্তে সঠিক বলা যাচ্ছেনা।

ইতালিয়ান সিভিল প্রটেকশন ডিপার্টমেন্ট বলছে, সম্ভাব্য বিপদজনক এই সময়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার যে কোনো ভবনের নিচেরতালাগুলো তুলনামূলকভাবে নিরাপদ হিসেবে বিবেচিত হবে। আন্ডারগ্রাউন্ডে কংক্রিটের প্রশস্ত দেয়াল আছে এমন যে কোন স্থান ও ভবনের পিলারের আশপাশের এলাকার যে কারো জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল হতে পারে।

উল্লেখ্য, ঝুঁকিপূর্ণ বিভাগ হচ্ছে উমব্রিয়া, লাসিও, আবরুসো, মোলিসে, কামপানিয়া, বাসিলিকাতা,পুলিয়া, কালাব্রিয়া, সিচিলিয়া এবং সার্দেনিয়া।

এসব বিভাগের জনগণকে সিভিল প্রটেকশন ডিপার্টমেন্ট কাঁচের দরজা জানালা থেকেও নিরাপদ দূরত্বে থাকতে পরামর্শ দিয়েছে।

এদিকে এই সংবাদের পর ওইসব এলাকায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যেও আতংক বিরাজ করছে।