• ১৬ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৩১শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২৪শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

যাদুকাটা নদীর পাড় ও বালু রক্ষায় ইজারাদারের সংবাদ সম্মেলন

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত অক্টোবর ১৬, ২০২৫
যাদুকাটা নদীর পাড় ও বালু রক্ষায় ইজারাদারের  সংবাদ সম্মেলন

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি;

সুনামগঞ্জের বৃহৎ যাদুকাটা -১ ও যাদুকাটা -২ বালু মহালে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও নদীর পাড় কাটা বন্ধসহ অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ইজারাদার নাসির মিয়া। বৃহস্পতিবার দুপুরে সুনামগঞ্জের একটি রেস্টুরেন্টের সম্মেলন কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ইজারাদার নাসির মিয়া বলেন, গত ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে নির্বাচিত হন। পরে আইনি জটিলতার কারণে মহামান্য হাইকোর্ট থেকে বালু মহাল স্থগিত করা হয়। একপর্যায়ে প্রায় পাঁচ মাস পর আদালত মামলার রায় প্রদান করলে সরকারকে প্রায় ১০৭ কোটি টাকা রাজস্ব প্রদান করে বৈধভাবে বালু উত্তোলনের অনুমতি পান।

 

ইজারাদার নাসির মিয়া অভিযোগ করে বলেন, অনুমতি পাওয়ার পর থেকেই প্রতিপক্ষের হুমকি, মিথ্যা মামলা ও হামলার কারণে তারা চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তার দাবি, “যাদুকাটা এক ও দুই মহাল নিয়ে আমরা বৈধ ইজারাদার হিসেবে আদালত ও প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছেন। কিন্তু একটি দুষ্কৃতকারী চক্র গত কয়েকদিন আগে রাতের অন্ধকারে মব সৃষ্টি করে নদীর পাড় কেটে বালু লুট করে নতুন – পুরাতন ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।”

 

নাসির আরও জানান, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও বিজিবির সহায়তায় বর্তমানে অবৈধ বালু উত্তোলন ও পাড় কাটা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রয়েছে। তারা ৪০০ থেকে ৫০০ স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করে নদীর পাড়ে বাঁশের বেড়া দিয়েছেন,যাতে কোন নৌকা বা ড্রেজার নদীর তীরে ভিড়তে না পারে।

 

তিনি জানান, “আমরা আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সনাতনী পদ্ধতিতে শ্রমিকের মাধ্যমে নদীর মধ্য থেকে বালু উত্তোলন করছি। আমরা বৈধভাবে সরকারের রাজস্ব প্রদান করে কাজ করছি কোন ভাবেই অবৈধ বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত নন তারা।”

 

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, “লাউড়েরগড় বাজার সংলগ্ন স্থানে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে। আমরা চাই প্রশাসনের উপস্থিতিতে নদী ব্যবস্থাপনা স্বচ্ছ হোক এবং কোনো চক্র যেন অবৈধভাবে নদী লুট করতে না পারে।”

 

ইজারাদার নাসির মিয়া সাধারণ শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বৈধ স্থান ছাড়া অন্য কোথাও বালু উত্তোলন না করতে। “অবৈধভাবে উত্তোলনকারীদের দায়ভার ইজারাদার নেবে না, বরং আইনের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে এমন সতর্কবার্তা দেন তিনি।

 

সংবাদ সম্মেলনে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।