সুনামগঞ্জপ্রতিনিধি:
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুণীকে পাচারের চেষ্টা করেছিল ভারতীয় নাগরিক রেজাউল করিম। তবে র্যাব-৯, সিলেট ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেই তরুণীকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জ জেলার সদর থানার এক তরুনী (২০) ভারতের আসামের রেজাউল করিমের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় গড়ে তুলেন। কয়েক মাসের মধ্যে তারা প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করেন। এরপর রেজাউল করিম মিথ্যা বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ভিকটিমকে ১৩ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে যান।
ভিকটিম নিখোঁজ হওয়ার পর তার বড় ভাই সুনামগঞ্জ সদর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। র্যাব-৯ বিষয়টি খতিয়ে দেখে অভিযান শুরু করে। তাদের গোয়েন্দা তৎপরতা এবং সহযোগিতামূলক আভিযানিক কাজের মাধ্যমে, ১৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার “হোটেল থ্রি স্টার আবাসিক”-এর ৫০৭ নং রুমে অভিযান পরিচালনা করে।
২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভিকটিম কে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। তার পিতা আব্দুল আউয়াল ও পরিবারকে দ্রুত খবর জানানো হয় এবং ভিকটিমকে হস্তান্তর করা হয়। তবে রেজাউল করিম উদ্ধারকালে ধরা পড়েনি। তথ্য অনুযায়ী, সে ভারতের নাগরিক এবং হোটসঅ্যাপের মাধ্যমে ভিকটিমের সঙ্গে যোগাযোগ করতো, তাকে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত দিয়ে ভারতে নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়েছিল।
র্যাব-৯ জানায়, রেজাউল করিম মানবপাচার ও প্রতারণার সক্রিয় চক্রের সদস্য। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং জনগণকে নিরাপদ রাখতে র্যাবের অভিযান ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করলো, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সজাগ থাকা এবং অপরিচিতের প্রলোভনে ফাঁদে পড়া কতটা বিপজ্জনক হতে পারে।