সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয় এর অধীনে ও গণমাধ্যম বিষয়ক উন্নয়ন সংগঠন সমষ্টি মিডিয়া কমিউনিকেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় সুনামগঞ্জ জেলায় শিশুর প্রারাম্ভিক বিকাশ এবং সাঁতার সুবিধা প্রদান (আইসিবিসি) প্রকল্পের অধীনে জাতি গঠনে শিশু বান্ধব ৩ দিন ব্যাপী সাংবাদিকতা কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মশালায় সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণ্বাড়িয়া, নরসিংদী জেলার ১৮ জন সাংবাদিক অংশ গ্রহণ করেন।
১৮ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) দুপুরে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের একটি অভিজাত রেষ্টরেন্টে এই কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়। গণমাধ্যম বিষয়ক উন্নয়ন সংগঠন সমষ্টি মিডিয়া কমিউনিকেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের জাহিদুল হক খানের সঞ্চালনায় সমাপনী অনুষ্টানে বক্তব্য রাখেন- সিনারগোজ এর সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার রেজওয়ান হক খান, সিআইপিআরবি এর সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার ড.আল-আল-আমীন ভূইয়া, সমষ্টি পরিচালক রেজাউল হক, শিশু একাডেমি সুনামগঞ্জের জেলা কর্মকর্তা বাদল রায়, সিনিয়র সাংবাদিক লতিফুর রহমান রাজু, শোয়েব চৌধুরী, খলিল রহমান, মাসুম হেলাল, মুহাম্মদ আমিনুল হক, এ আর জুয়েল, কর্ণ বাবু দাস। কর্মশালার ২য় দিনে প্রশিক্ষনার্থী সাংবাদিকদের জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার গাজী নগর, নোয়াখালী এলকায় শিশু যতœকারি প্রতিষ্ঠান ও মাচা তৈরি করে সাঁতার শেখানো প্রজেজক্ট পরিদর্শন করানো হয়। নোয়াখালীর রুবেল হোসেন বলেন, পানিতে ডুবে অস্বাভাবিক শিশু মৃত্যু বাড়ছেই। তা রোধ করতে সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এর উদ্যোগে শিশুদের মাচায় সাঁতার শেখানো হচ্ছে। তা খুবই ভালো উদ্যোগ। আদিবাসী উন্নয়ন সংস্থার সুপারভাইজার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে যাতে কোন শিশু দুঘর্টনার শিকার না হয় এজন্যই প্রকল্প কাজ করছে। গাজীনগর গ্রামের যতœকারী মহিলা অযুফা আক্তার বলেন, সাঁতার শেখার পাশাপাশি কিভাবে একটি শিশু আরেকটি শিশুকে পানিতে ডুবে গেলে উদ্ধার করবে, আগুন লাগলে নিজেকে রক্ষা করবে আমরা এসব শিখাই। শিশুদের প্রারম্ভিক বিকাশ, সুরক্ষা সম্পর্কে অভিভাবকদের অবহিত করা হয়। গাজীনগরের অভিভাবক সালমা আক্তার বলেন আমাদের সেন্টারে যতœসহকারেই শিশুদের শেখানো হয়। কোবাদ মিয়ার পুকুরে ছেলে শিশুদের জন্য আলাদা পুরুষ সাঁতার প্রশিক্ষক দিয়ে সাতার শেখানো হচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শিশু যতœ কেন্দ্রে ১-৫ বছর বয়সী শিশুদের প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা উপকরণের মাধ্যমে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত শিক্ষা দেওয়া হয় বলে জানান যতœকেন্দ্রের অযুফা আক্তার। তার সহ যতœকারি জেরিন আক্তার বলেন কেন্দ্রে আমরা দুইজন ‘গিভার কেয়ার’ মায়ের যতœ দেয়া হয়। তাদেরকে ছড়া, গল্প শুনানোর সঙ্গে শিখানো হয়। আপন ভুবনে শিশুদের ঘুমাতে দেয়া হয়। সরেজমিনে গিয়ে নোয়াখালি এলাকায় সাঁতার কেন্দ্রে গিয়ে দেখা একটি পুকুরে বাঁশ দিয়ে দুটো মাচা তৈরি করা হয়েছে। শিশুদের জন্য এখানে আপন ভুবন, রঙের ভুবন, গল্পের ভুবন, স্বপ্নের ভুবনসহ চারটি ভুবন রয়েছে।