বিবিএন নিউজ:
ফরিদপুর-৪ সংসদীয় আসন থেকে ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে কেটে নিয়ে ফরিদপুর-২ আসনে অন্তর্ভুক্ত করার ঘটনায় ভাঙ্গায় টানা দ্বিতীয় দিনের মতো সড়ক অবরোধ করেছে আন্দোলনকারীরা। এতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
আজ বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই অবরোধ কর্মসূচিতে দুই ইউনিয়নবাসীর সঙ্গে ভাঙ্গা উপজেলার পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নও যোগ দিয়েছে।
জানা গেছে, স্থানীয় বিল্লাল মাতুব্বর আলগী ইউনিয়নের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
স্থানীয়দের দাবি, ভিটেমাটি রক্ষার আন্দোলন অস্তিত্বের আন্দোলন, জীবন-মরণ আন্দোলন, ভাগ্য নির্ধারণের আন্দোলন। তারা ভাঙ্গার সঙ্গেই থাকতে চান।
এদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো আশ্বাস পাওয়া যায়নি বলে জানান স্থানীয় বিল্লাল মাতুব্বর। তিনি জানান, যাত্রীদের ভোগান্তির দিকে লক্ষ্য করে আমরা প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা অবরোধের ডাক দিয়েছি। দাবি একটাই, গেজেট বাতিল করে আমাদের ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত আমরা দুই ইউনিয়নবাসী ঘরে ফিরে যাব না।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফ হোসেন কালবেলাকে বলেন, উপজেলা চত্বর ঘেরাও করার হুমকি দিয়েছিল এমন খবরে আমরা উপজেলা চত্বরে পর্যাপ্ত সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন করে রেখেছি। কোনোরকম বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করা হবে না। ভাঙ্গা উপজেলার সকল রুটে অবরোধ শুরু করেছে স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অফিসার মো. মিজানুর রহমান কালবেলাকে বলেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহল আন্দোলনকারীদের নামে উপজেলা ঘেরাও করার ঘোষণা দিয়েছিল। আমরা উপজেলা চত্বরে নিরাপত্তা বিষ্টনীতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গেজেট বাতিলের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা পাইনি। আন্দোলনকারীরা সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন।
প্রসঙ্গত, ফরিদপুর-৪ আসনটি ছিল ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলা নিয়ে গঠিত। ফরিদপুর-২ আসন ছিল নগরকান্দা ও সালথা উপজেলা নিয়ে। কিন্তু গত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে দেশের ৪৬টি সংসদীয় আসনের সীমানা পরিবর্তন করে। ওই গেজেট অনুযায়ী ফরিদপুর জেলার দুটি আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হয়। এর ফলে, ফরিদপুর-৪ আসনের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে নগরকান্দা ও সালথা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-২ আসনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়।