• ২৪শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৯ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১লা রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

সাতক্ষীরায় মেরুদণ্ডের জটিল অপারেশন সম্পন্ন

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত আগস্ট ২৪, ২০২৫
সাতক্ষীরায় মেরুদণ্ডের জটিল অপারেশন সম্পন্ন

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :

সাতক্ষীরার চিকিৎসা ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা হলো। শনিবার (২৩ আগস্ট) বিকালে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (সামেক) প্রথমবারের মতো অত্যন্ত জটিল একটি স্পাইন সার্জারি বা মেরুদণ্ডের অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

 

এর আগে খুলনা বিভাগের কোনো সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এত বড় মেরুদণ্ডের অপারেশন হয়নি বলে জানিয়েছেন সামেক কতৃপক্ষ।

 

এই অপারেশনটির নেতৃত্ব দেন খুলনা মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক (স্পাইন সার্জারি) ডাঃ মোঃ মাহমুদুল হাসান (পলাশ), তিনি বর্তমানে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে সংযুক্ত আছেন।

 

অপারেশন পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় রোগী আব্দুর রাজ্জাক জানান, তিনি সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে আনসার সদস্য হিসেবে কর্মরত।কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, কিছুদিন আগে পড়ে গিয়ে আমার মেরুদণ্ডের একটি হাড় ভেঙে যায় এবং আরেকটি হাড়ের ভেতরে ছিদ্র হয়। তখন আমি ভেবেছিলাম হয়তো আর স্বাভাবিকভাবে চলতে ফিরতে পারব না। কিন্তু আমার অসুস্থতার খবর পেয়ে মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ এগিয়ে আসে।

 

তিনি জানান, শনিবার সকাল ১০টা থেকে টানা পাঁচ ঘণ্টা ধরে অপারেশন করেন ডাঃ মাহমুদুল হাসান পলাশ স্যার। আল্লাহর রহমতে এবং ডাক্তারদের আন্তরিক চেষ্টায় আমি নতুন জীবন ফিরে পেয়েছি। আমি মনে করি, সাতক্ষীরার মানুষের জন্য এটি আশার আলো।

 

অপারেশন শেষে ডাঃ পলাশ বলেন, সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর, যিনি আমাকে এই কাজ করার সামর্থ্য দিয়েছেন। তিনি আরও জানান, এই সাফল্য সম্ভব হয়েছে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর ডাঃ মোঃ রুহুল কুদ্দুছ, হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ কুদরত ই খুদা এবং অর্থোপেডিক্স বিভাগের প্রধানের আন্তরিক সহযোগিতা ও উৎসাহের কারণে।

 

এদিকে, ঝুঁকিপূর্ণ এই অপারেশনে অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন ডাঃ মুক্তাদির তামিম। এছাড়া মেডিকেলের অন্যান্য অভিজ্ঞ চিকিৎসকরাও সহযোগিতা করেন। চিকিৎসকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অপারেশনটি সফল হয়।

 

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ কুদরত ই-খুদা বলেন, এ সাফল্য শুধু একজন রোগীর জীবনই বাঁচায়নি, বরং সাতক্ষীরার চিকিৎসা ব্যবস্থায় নতুন আশার সঞ্চার করেছে। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হলো, খুলনা বিভাগের সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোও এখন জটিল রোগীদে


র উন্নত চিকিৎসা দিতে সক্ষম।