সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
গত ২২ জুন সন্ধ্যায় অবৈধ অস্ত্র ও আসামী ধরতে দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের আকিল নগর, জারলিয়া,ও তারাপাশা গ্রামে যৌথ বাহিনী অভিযান চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা পালিয়ে পার্শ্ববর্তী জগন্নাথপুর উপজেলার গইদ্দ্দালা গ্রামে পালিয়ে যায় এবং যৌথ বাহিনীর উপর গুলি চালায় । আত্মরক্ষার জন্য যৌথ বাহিনী ও গুলি করে। এ সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে আবু সাঈদ (৩৫) নামে এক ইলেকট্রনিক মিস্ত্রি প্রাণ হারান। সে দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের তারাপাশা গ্রামের তাজ মিয়ার পুত্র।
এ দিকে ২৩ জুন সোমবার দুপুরে দেওয়া সেনাবাহিনীর প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ২০ জুন দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা একরার হোসেন লোকজনের সঙ্গে একই ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি আতিকুর রহমানের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গোলাগুলির ঘটনা সংঘটিত হয় এবং গোলাগুলিতে ১ জন বেসামরিক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়। এছাড়াও একরার ও তার অনুসারীরা প্রায়ই এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে আসছিলো। এ ধরণের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সুনামগঞ্জ থেকে গত ২২ জুন সেনাবাহিনীর একটি টহল দল অস্ত্রধারীদের ধরতে হাতিয়া গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের উপস্থিতি টের পেয়ে একরার বাহিনীর সন্ত্রাসীরা সেনাবাহিনীকে লক্ষ করে গুলি ছুড়তে থাকে এবং আত্মরক্ষার্থে সেনাবাহিনীও পাল্টা গুলি চালায়।
পরবর্তীতে একরার বাহিনীর সন্ত্রাসীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালাতে শুরু করে। টহল দল পরে একজন মরদেহ দেখতে পায়। মৃত ব্যক্তি কার গুলিতে মারা গেছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পরবর্তীতে যৌথ বাহিনী এলাকায় তল্লাশী কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে সন্দেহজনক ৪ জন সন্ত্রাসীদের (তাজ উদ্দিন, আমির উদ্দিন, ইরন মিয়া এবং জমির মিয়া) আটক করে। আটককৃত ব্যক্তিদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক নিহত ব্যক্তি অজ্ঞাত কোন সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারা গেছে বলে উল্লেখ করা হয়।
এছাড়াও আটককৃতদের নিকট হতে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, তাদের বাড়িতে তল্লাশী করে একটি একনলা বন্দুক, ৪টি পাইপ গান, ৭টি রামদা, ৯টি বল্লম, ৬টি বুলেট প্রুপ জ্যাকেট, ১ রাউন্ড তাজা বুলেট এবং ১ রাউন্ড ফায়ারকৃত ব্ল্যাংক কার্টিজ জব্দ করে। সোমবার সকালে যৌথ বাহিনীর অভিযান শেষ হয়। অভিযানে আটককৃত ব্যক্তি এবং তাদের নিকট হতে উদ্ধারকৃত বিভিন্ন সরঞ্জামাদি পুলিশের নিকট হস্তান্তর করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। মৃত ব্যক্তিকে ময়না তদন্ত করানোর জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে