• ১৯শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২১শে জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

পাঁচ আগস্টের পর দুদক স্বাধীন ভাবে কাজ করছে- দুদক কমিশনার।

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত মে ১৯, ২০২৫

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:

দুদক কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) হাফিজ আহসান ফরিদ বলেছেন, পাঁচ আগস্টের পর দুদক স্বাধীন ভাবে কাজ করছে। মানুষ এখন দুর্ণীতির বিরুদ্ধে প্রাণ খোলে কথা বলছে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তির কারণে মানুষ ঘরে বসেই সবকিছুই জানতে পারছে। দেশের সাধারণ মানুষ ঘুষ খায়না,বড় কোন অনিয়ম-দুর্নীতির সাথে জড়িত না। কৃষক শ্রমিক সহ নিম্ন আয়ের মানুষ দুই চারশ টাকা দিয়েই চালিয়ে নেয়। যাদের সরকার আমানতদার হিসেবে বড় বড় চেয়ারে বসিয়েছে তারাই দুর্নীতি-লুটপাট করে দেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

 

 

সোমবার সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত জেলা শিল্পকলা একাডেমির হাছনরাজা মিলনায়তনে যৌথভাবে জেলা প্রশাসন ও দুদক আয়োজিত গণ শুনানী কালে তিনি এসব কথা বলেন। সুনামগঞ্জ জেলাধীন সকল সরকারী আধা সরকারী,স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিষেবার উপর এই গণ শুনানী অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ড মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব‍্য রাখেন দুদক কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল( অবঃ)হাফিজ আহসান ফরিদ। বিশেষ অতিথির বক্তব‍্য রাখেন দুদক মহাপরিচালক( প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন, পুলিশ সুপার তোফায়েল আহম্মেদ, দুদক সিলেটের সমন্বিত কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রাফি নাজমুস সাদাত, জেলা দূর্নতি

প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক সৈয়দ মুহিবুল ইসলাম।

 

গণশুনানিতে পাসপোর্ট অফিস, ভুমি অফিস, শিক্ষা অফিস, স্বাস্থ্য, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিআরটিএ, কৃষি অফিস, সমাজ সেবা, ট্রাফিক, পিআইও বিদ্যুৎ, পৌরসভা, এলজিইডি, সড়ক ও জনপথ , সেটেলমেন্ট ,বি আরটিএ,সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল, সাবরেজিস্টারসহ ২৫ টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ৫৫ টি অভিযোগ জমা পড়ে।

 

গণশুনানিতে শাল্লার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) নুরুন নবী বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকার পরও দুদকের ডাকে সাড়া না দিয়ে শুনানিতে অনুপস্থিত থাকেন। এবং দুদকের এক কর্মকর্তাকে ফোনে আপনারা যা পারেন তাই করতে বলেন।বিষয়টি নিয়ে শুনানীতে আলোচনা হলে দুদক তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করবেন বলে জানান। এবং জেলা প্রশাসক তাকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বহিষ্কারের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট লেখবেন বলে জানান। বিভিন্ন অফিসে ঘুস গ্রহনের অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।এবং প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের প্রধানগন এসব খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন। এছাড়া সেবা প্রাপ্তদের সমস্যা সমাধানে সময়ও বেঁধে দেন। এসব অভিযোগ মনযোগ সহকারে শুনেন দুদক কমিশনার।

 

দুদক কমিশনার আর ও বলেন, আশেপাশের ঘটনা মানুষ নিজ চোখেই দেখতে পারছে। যার কারণে সহজে দেশের অনিয়ম দুর্নীতি ধরা পড়ছে।অবৈধভাবে যারা সফল হয়েছে,দুর্নীতি হচ্ছে তাদের হাতিয়ার, এর জন্যই দেশের মানুষের মনে যে ক্ষোভ জন্মেছিলোর সেটির জন্যি চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান।

যার কারণে প্রতিটি জেলা উপজেলা ও বিভাগীয় শহর গুলোতে বিভিন্ন দপ্তরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হয়েছে।

 

তিনি আরও বলেন, যে ঘুস চাইবে তার বিরুদ্ধে চিৎকার করবেন, মানুষ জড়ো করবেন, প্রতিবাদী হবেন। প্রতিবাদ করতে কোনো ধরনের টাকা-পয়সা লাগে না, প্রতিবাদ করতে কোনো শিক্ষা লাগে না। প্রতিবাদ করতে লাগে সৎসাহস। প্রতিবাদে কাজ না হলে দুদককে জানান। দুদকের জালে আটকা পড়লে বের হতে পারবেননা। অতএব ঘুস, দুর্নীতি করবেননা। সাবধান হয়ে যান।