সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জ শহরের বাধন পাড়ার বাসিন্দা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা রেজাউল আলম নিক্কুর বাসা থেকে একজন গৃহকর্মীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত গৃহকর্মীর নাম চম্পা বেগম। বয়স আনুমানিক ১৮। সে দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের নুর পুর গ্রামের বাদশা মিয়ার মেয়ে।
নিহতের পিতা বাদশা মিয়ার দাবী তার মেয়েকে নিক্কু চেয়ারম্যানের ছেলে ও পরিবারের অন্যান্যরা নির্যাতন করে মেরে জানালার গ্রীলে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
নিহতের চাচা পিয়ার আলী ও বড় বোন জানান তাকে এর আগেও নির্যাতন করার কারণে সে বাড়িতে চলে গেলে চেয়ারম্যান এলাকার মানুষজন কে ধরে এবং আমাদের অনুরোধ করে নিয়ে আসে।
প্রতক্ষদর্শীরা জানান, চম্পার মরদেহ বাসার জানালার গ্রিলে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।
চেয়ারম্যানের পুত্র শুভ প্রথমে নিহতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন, কিন্তু ব্যর্থ হন। পরে তিনি ঢাকায় অবস্থানরত চম্পার চাচাতো বোনকে বিষয়টি জানান। সেখান থেকেই খবর যায় চম্পার পরিবারের কাছে।
নিক্কু চেয়ারম্যানের পুত্র অ্যাডভোকেট. ইশতিয়াক আলম পিয়াল বললেন, সকালে এই ঘটনা দেখে পুলিশকে ফোন দিয়েছি। পরে জানতে পারলাম এক ছেলের সঙ্গে মেয়ের সম্পর্ক ছিলো। রাতে নাকি ফেসবুকে স্ট্যাটাসও দিয়েছে। স্ট্যাটাস দেখলেও বুঝা যাবে, কীভাবে কী হয়েছে।
সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি তদন্ত মনিবুর রহমান জানান খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও তদন্ত করে বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।