• ১লা মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৬ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১লা রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

মৃত্যুঞ্জয়ী ও কারা নির্যাতিত শামসুর রহমান শামসুর উত্থানের কথা

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত মার্চ ১, ২০২৫
মৃত্যুঞ্জয়ী ও কারা নির্যাতিত শামসুর রহমান শামসুর উত্থানের কথা

এম এ সাজিদ রানা:মৃত্যুঞ্জয়ী ও কারা নির্যাতিত এক উদীয়মান নেতার নাম হচ্ছে শামসুর রহমান সামসু।বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সিলেট বিভাগের সব চাইতে পরিচ্ছন্ন ও পরিশ্রমী নেতা, জননেতা কলিম উদ্দিন আহমেদ মিলনের হাতে গড়া একনিষ্ঠ, অনুগত নিবেদিত এক কর্মীর নাম হচ্ছে শামসু।

বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর,যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর স্নেহ ধন্যে ছাতকের শামসুকে বারবার পুরস্কৃত করেছেন। এজন্য শামসুর রহমান শামসু দলের জন্য একাধিকবার জীবন বাজি রেখেছেন। চরম দুর্দিনে হাটে মাঠে দলের প্রচার প্রচারণায় অগ্রণী ভূমিকা রেখে বারবার কারাভোগ করেছেন।

নব্বই দশকে ছাতকের যুব সমাজের আইকন হিসাবে পরিচিত রাজপথ কাঁপানো তরুণ ছাত্রনেতা মাহফুজ শিপলুর আহবানে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ অনুপ্রাণিত হয়ে বিপুল উৎসাহ ও আগ্রহ নিয়ে ৯২ সালে ছাত্রদলে নাম লেখান।ছাতক পৌর সভার ঐতিহ্য বাহী নোয়ারাই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট শ্রমিকনেতা,শালিস ব্যক্তিত্ব মরহুম আব্দুল মালিকের গর্বিত সন্তান শামসুর রহমান শামসু।


শামসু ১৯৯২ সালে ছাত্রদলে যোগদান করে ছাতক সিমেন্ট ফ্যাক্টরি উচ্চ বিদ্যালয় কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। ৯৪ নোয়ারাই ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক। ৯৫ ছাতক ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক। ৯৫ সালে ছাতকে সরকারি কলেজে এক সন্ত্রাসী হামলায় প্রতিপক্ষ ছাত্র সংগঠনের ছাত্রদের হাতে মারাত্মক আহত হন।সবার দোয়া ও চিকিৎসায় সে যাত্রায় বেঁচে যান।

১৯৯৮ সালে ছাতক ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক নির্বাচিত হন।
২০০০ সালে ছাতক উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।কিন্ত এ বছর আবারো জাতীয়তাবাদের রাজিনীতি করার অপরাধে একদল সন্ত্রাসী রামদা ও ধারলো অস্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। দীর্ঘদিন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। রাখে আল্লাহ মারে কে?আল্লাহর অশেষ দয়ায় আলৌকিক ভাবে সে যাত্রায় আবারো নতুন জীবন ফিরে পান।

২০০৯ সালে ছাতক পৌরসভা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এবং ২০০৯ সালেই কাউন্সিলের মাধ্যমে ছাতক পৌরসভা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১০ সালে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক দায়িত্ব পান। ২০১৪ সালে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৬ সালে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হন।

২০১৬ সালে ছাতক পৌরসভা নির্বাচনে বি এন পি র মনোনয়ন নিয়ে ধানের শীষের প্রতিক নিয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেন।।গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ছাতক পৌর বিএনপির আহবায়ক হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

সমপ্রতি অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় বিএনপির বর্ধীত সভায় সিলেট বিভাগ থেকে যে ৩ জন ব্যক্তি বক্তব্য রাখার সুযোগ পান এই ৩ জনের মধ্যে একজন সৌভাগ্যবান ব্যক্তি হচ্ছেন শামসুর রহমান শামসু।এব্যাপারে ছাতক পৌর বিএনপির আহবায়ক শামসুর রহমান শামসু বলেন, আমি আজীবন দলের জন্য কাজ করতে চাই।

ইনশাআল্লাহ আমি ছাতক পৌর বিএনপিকে আগের চাইতে আরো গতিশীল ও শক্তিশালী করে গড়ে তুলবো। এজন্য আমি সবার সাহায্য ও সহযোগীতা চাই।সবার সহযোগীতা পেলে অবশ্যই দলেকে সুসংগঠিত করে ঢেলে সাজাতে পারবো।আমি আমার রাজনৈতিক অভিভাবক বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও জননেতা কলিম উদ্দিন আহমেদ মিলন ভাইসহ সংশ্লিষ্ট সবার কাছে চির কৃতজ্ঞ এতো বড় পদে আমাকে দায়িত্ব দেয়ার জন্য।

আমি অর্পিত দায়িত্ব পালনে সর্বোচ্ছ আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাবো।আমি সবার দোয়া ও সহযোগীতা চাই।