ক্যাপশন: লিখিত বক্তব্য পাঠ করছেন রইছ উদ্দিন।
আতিকুর রহমান: ছাতক:অপপ্রচার ও অবৈধ ভাবে ভূমি দখলের চেষ্টার প্রতিবাদে ছাতক প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
শনিবাব সকালে ছাতক প্রেসক্লাব রোকেয়া ম্যানশনস্থ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ছাতক সদর ইউনিয়নের মানসীনগর গ্রামের মৃত রাশিদ আলীর ছেলে রইছ উদ্দিন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ছাতকের সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবরে একই গ্রামের কামাল উদ্দিন গং রা প্রায় একমাস আগে অভিযোগ দায়ের করে। গত ২৯ সেপ্টেম্বর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু নাসের ঘটনাস্থল সরজমিন তদন্ত করে সার্ভেয়ার দিয়ে বিরোধকৃত জমি পরিমাপ করে কাগজপত্র ও সরজমিন পর্যালোচনা করে বাস্তবে অভিযোগের সত্যতা পান নি। এই ঘটনার যের ধরে বাদী পক্ষ কামাল উদ্দিন গং রা এসিল্যান্ডের সাথে অশোভন মূলক আচরণ করে তার গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করে। বাদীর পক্ষে এসিলেন্ডের বক্তব্য না যাওয়ায় বাদী কামাল উদ্দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ বিভিন্ন দপ্তরে এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
তিনি আরও বলেন, গত ২০০২ সালে একই গ্রামের মৃত গোলাম হাফিজের ছেলে মো: ফয়জুল হক, আজমান আলীর ছেলে মো: ফজল উদ্দিন অনুরুপ অভিযোগ করেন। গত ২০০২ সালের ১১ মার্চ মানসীনগর গ্রামে হাফিজ মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে এক সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে ৩জন ইউপি সহ সাবেক চেয়ারম্যান সাহাজুল ইসলাম, খলিলুর রহমান, জুবেদ আলী সহ ২৩ জন গন্যমান্য ব্যাক্তির উপস্থিতিতে শালিস বৈঠক অনষ্টিত হয়।
এসময় ফয়জুল হক গং তাদের দাবীকৃত দেড় শতক ভূমির পক্ষে কাগজপত্র বা দলিল প্রদর্শনে ব্যর্থ হয়। আমরা আমাদের পক্ষে ৪টি দলিল পেশ করি। সালিশ বৈঠক থেকে ২০০২ সালের ২০ মার্চ বিরোধ নিস্পত্তির লক্ষে সমরোজ আলীকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি বোর্ড গঠন করেন । সালিশ বোর্ডের সদস্যগণ বিরোধ মিমাংসার জন্য বিরোধিও ভূমি সরজমিন তদন্ত করে উভয় পক্ষকে মিলিয়ে দিয়ে বোর্ডের তদন্ত কার্যক্রম সমাপ্ত করেন। পরবর্তীতে আমল গ্রহণকারী প্রথম শ্রেনির হাকিম ছাতক সুনামগঞ্জ আদালতে আমাদের বিরুদ্ধে রাস্তা দখলের অভিযোগ এনে বিবিধ মোকদ্দমা নং-৬৬/২০০২ দায়ের করা হয়। ২০০৪ সালের ২০ ডিসেম্বর মামলার প্রেক্ষিতে তৎকালিন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ছাতক বদরুল হক সরজমিন তদন্তপূর্বক অভিযোগের সত্যতা না পেয়ে মিথ্যা অভিযোগ বলে একটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। দাখিলকৃত প্রতিবেদন মাননীয় আদালত পর্যালোচনা করে মামলাটি খারিজ করেন। এই ঘটনার পর থেকে কামাল উদ্দিন গংরা আমাদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা করে আমাদের স্বপরিবারকে হয়রানি করে আসছে। ভবিষ্যতে আমাদের ভূমি নিয়ে মামলা মোকাদ্দমা কিংবা মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার থেকে বিরত থাকার কথা বলেন। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।