• ২৩শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৭ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২০শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ডানা, পশ্চিমবঙ্গের ৮ জেলায় স্কুল বন্ধ

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত অক্টোবর ২৩, ২০২৪
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ডানা, পশ্চিমবঙ্গের ৮ জেলায় স্কুল বন্ধ

বিবিএন ডেস্ক:

ঘূর্ণিঝড় ডানা উপকূলের আরও কাছে পৌঁছে গেছে। প্রবল শক্তিতে আঘাত হানতে পারে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কয়েকটি নির্দেশনাসহ জোর প্রস্তুতির নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে নবান্ন থেকে তিনি ওই সব নির্দেশনা জারি করেন।

 

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ৮ জেলায় ২৩ থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে স্কুল-কলেজ। বন্ধ থাকবে ফেরি চলাচল। রাজ্যের জরুরি সেবা কর্মকর্তাদের প্রতি মুহূর্তে সতর্ক থাকতে হবে। এ ছাড়া কন্ট্রোল রুম স্থাপন, বিপজ্জনক এলাকার বাসিন্দাদের দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার তাগিদ দেন তিনি।

 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, আন্দামান সাগরে তৈরি ঘূর্ণাবর্ত বঙ্গোপসাগরে এসে সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হয়ে মঙ্গলবার গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়। তা দ্রুত শক্তি বাড়িয়ে আজ বুধবার (২৩ অক্টোবর) প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। বৃহস্পতিবার সকালে ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগ বাংলা ও ওড়িশার উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

 

পরিস্থিতির খোঁজ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভারতীয় আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসের বরাতে জানান, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার ভোরের মধ্যে যে কোনো সময় ওড়িশার পুরী ও বাংলার সাগরদ্বীপে আছড়ে পড়তে পারে। এতে উপকূলবর্তী এলাকায় প্রবল ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ২৪ তারিখ ল্যান্ডফলের কথা থাকলেও দুর্যোগ যে কোনো সময় আসতে পারে। তাই ২৩ অক্টোবর থেকে ৩ দিন পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি, কলকাতা, পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রামে স্কুল ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ফেরি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পর্যটকদের সতর্ক করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই উপকূলের জেলাগুলোতে শুরু হয়েছে মাইকিং।

 

এদিকে কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানিয়েছেন, জাপানের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত দৃশ্যমান মেঘের চিত্রে দেখা যাচ্ছে গভীর নিম্নচাপটি সংগঠিত হয়ে পুরোপুরি ঘূর্ণিঝড়ের গঠন আকৃতি ধারণ করেছে। আমার বিশ্লেষণ অভিজ্ঞতার আলোকে গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ডানার কারণে যে ঘূর্ণ্যমান মেঘের সৃষ্টি হচ্ছে তা ইতোমধ্যে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার জেলাগুলো পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ডানার বহিঃস্থ মেঘের কারণে আজ দিনের বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় হালকা থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টির প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উপকূলে আঘাত করলেও এর প্রভাব ভালোভাবে পড়বে বাংলাদেশের খুলনা ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় জেলাগুলোর ওপরে।